প্রকাশিত: ২৬/১১/২০১৬ ৯:২০ এএম

জসিম উদ্দিন টিপু, টেকনাফ::
টেকনাফে স্কুল ছাত্রদের পরিকল্পিতভাবে হত্যা মামলায় জড়াতে অপতৎপরতা চলছে। স্থানীয় রাজনীতির জের ধরে ছাত্রদের মামলায় জড়াতে একটি বিশেষ পক্ষ মিশনে নেমেছে। সুত্র জানায়, উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা এলাকার স্কুল পড়–য়া একাধিক ছাত্র এবং নিরীহ কিছু যুবককে মুচনী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কতিপয় লোক মিথ্যা মামলায় জড়াতে অপচেষ্ঠা চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ জানাগেছে। এব্যাপারে ভুক্তভোগী লোকজন আশু মিথ্যা মামলা থেকে বাঁচতে ক্যাম্প ইনচার্জ বরাবরে লিখিত আবেদন করেছেন। এলাকাবাসী জানায়, দুয়েকদিন আগে মুচনী রোহিঙ্গা ক্যাম্পস্থ পশ্চিমের পাহাড় থেকে গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে ময়নাতদন্ত ও জানাজা শেষে লাশ দাফন করেছে নিহত যুবকের পরিবার। এরপর থেকে বিশেষ একটি পক্ষ লেদা এলাকার জেএসসি ফলপ্রার্থী শামসুল আলমের ছেলে প্রতিবন্ধি নুরুল ইসলাম, আব্দুস শুক্কুরের ছেলে সাইফুল ইসলাম, বর্তমানে পিএসসি পরীক্ষার্থী নুরুল আলমের ছেলে মো: ইসমাঈল, মো: ইসলামের ছেলে মো: আব্দুল্লাহ, মৃত কালামের ছেলে মো: করিম, নুর আহমদের ছেলে বোরহান, মকতুল হোছনের ছেলে ইমাম হোসন, আবুল হোসনের ছেলে গোরা পুতিয়া, মৃত ছৈয়দ আলীর ছেলে মো: আলমসহ নিরীহ কিছু লোককে পরিকল্পিতভাবে হত্যা মামলায় জড়াতে তোড়জোড় চালাচ্ছে। এলাকাবাসী বলছেন, ১০বছরের এক শিশুকে কে বা কারা হত্যা করে গাছের সাথে ঝুলিয়ে রাখবে তাতো বড়ই বেদনাদায়ক ও দু:খজনক। ঘটনায় জড়িত যেই হোক না কেন? তাকে শাস্তি পেতেই হবে। তবে উদুর পিন্ডি বুদুর গাঢ়ে চড়াতে পরিকল্পিতভাবে রোহিঙ্গা শিশুর হত্যায় স্থানীয় ছাত্র সহ কিছু লোক কেন মামলার আসামী হবে? পিএসসি পরীক্ষার্থী ইসমাঈলের বাবা নুরুল আলম জানান, ঘটনার দিন আমার ছেলে পরীক্ষায় অংশ নিতে হ্নীলায় অবস্থান করেন। অথচ এখন নাকি তাকেই সহ ছাত্রদের মামলার আসামী করা হচ্ছে। স্থানীয় রাজনীতির বলিরপাঠা হিসেবে ছাত্র সহ নিরীহ কিছু লোককে মিথ্যা মামলায় জড়াতে একটি পক্ষ জোর চেষ্ঠা চালাচ্ছেন জানিয়ে স্থানীয় মহিলা মেম্বার মর্জিনা আক্তার ছিদ্দিকী দৈনিক কক্সবাজারকে বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ভেতরে সংঘটিত হত্যাকান্ডটি খুবই স্পর্শকাতর। সেখানে স্থানীয় যুবকদের কেন আসামী করা হবে তাতো বুঝতেই পারছিনা। তিনি আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসহ সংশ্লিষ্ট সকলের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। স্কুল ছাত্র,শিক্ষক,অভিভাবক এবং স্থানীয় এলাকাবাসী আশু মিথ্যা মামলা থেকে বাঁচতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং পুলিশ সুপারের জরুরী হস্তক্ষেপ কামন করেন।#

পাঠকের মতামত