হাফেজ মুহাম্মদ কাশেম, টেকনাফ::
টেকনাফের হ্নীলা মঈন উদ্দিন মেমোরিয়াল কলেজে একাদশ শ্রেণীতে নতুন ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের বরণ ও এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের সংবর্ধনাত্তোর মাদক ও জঙ্গিবাদ বিরোধী সমাবেশ অনুষ্টিত হয়েছে।
৫ আগষ্ট শনিবার দুপুরে টেকনাফের হ্নীলা মঈন উদ্দিন মেমোরিয়াল কলেজ মিলনায়তনে কলেজ ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ও চবির ডিন ডঃ ফরিদ উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে এবং ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আনম তৌহিদুল মাশেক তৌহিদ ও প্রভাষিকা রাবেয়া বিনতে বাদশাহের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত “মাদক ও জঙ্গিবাদ” বিষয়ক সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোঃ আলী হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার ডঃ একেএম ইকবাল হোসেন চৌধুরী, সাবেক এমপি ও টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী, টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদ হোসেন ছিদ্দিক, সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রণয় চাকমা, হ্নীলা ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এইচকে আনোয়ার সিআইপি, চট্রগ্রাম বিশ্ব বিদ্যালয় ইসলামের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন কাদেরী ও সাংবাদিক তোফায়েল আহমদ, এএসপি সার্কেল (উখিয়া) চাইলাউ মারমা, টেকনাফ মডেল থানার ওসি মোঃ মঈন উদ্দিন খাঁন। বক্তব্য রাখেন ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এইচএম ইউনুছ বাঙ্গালী, কায়সার উদ্দিন আহমদ, হ্নীলা হাইস্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মাহবুব মোরশেদ, এইচএসসি উত্তীর্ণ ছাত্র সার্ত্তিক দাশ ও একাদশ শ্রেণীর ছাত্র মোহাম্মদ আলম প্রমুখ।
এর আগে ১ম পর্বে হ্নীলা মঈন উদ্দিন মেমোরিয়াল কলেজের একাদশ শ্রেণীতে ভর্তিককৃত নবাগত শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ এবং এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের ক্রেস্ট দিয়ে সংবর্ধিত করার পাশাপাশি উপস্থিত প্রধান ও বিশেষ অতিথিকে ক্রেস্ট এবং অপর অতিথিদের ফুলের তোড়া দিয়ে বরণ করা হয়।
বক্তাগণ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন ছাত্র-ছাত্রীরা দেশ ও জাতির অমূল্য সম্পদ এবং কান্ডারী। মাদক ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে দেশ গঠনে এগিয়ে আসতে হবে। আজ সারা বিশ্ব তোমাদের মত প্রকৃত শিক্ষায় দীক্ষিত মানুষের অপেক্ষায় আছে। গুণগত শিক্ষায় তোমরা শিক্ষিত হয়ে সেই পথ অনুসরণ করে গড়ে উঠবে। ভাল পড়াশুনায় মনোনিবেশ করে নিজেদের নেতৃত্ব উপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে। অরপদিকে মাদকের করাল গ্রাস এবং জঙ্গিবাদ থেকে যুব সমাজ, দেশ ও জাতিকে রক্ষা করে দেশকে শান্তিময় বসবাসের উপযোগী হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। যারা মাদক চোরাচালান ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড সৃষ্টির মাধ্যমে জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করতে চায়, তারা দেশ, জাতি ও মানবতার শত্রু। তাদের কোন প্রকারে ছাড় দেওয়া হবেনা। টেকনাফ এখন মাদক চোরাচালানের রোড হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। যা আমাদের ঐতিহ্যকে ভূলুন্ঠিত করেছে। সরকার এখন এসব অপরাধ দমনে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। এসব মাদক চোরাচালান ও জঙ্গিবাদে জড়িতদের কঠোর হস্তে দমন করার জন্য সরকার ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থা বদ্ধপরিকর। দলমত নির্বিশেষে কাউকে ছাড় দেওয়া হবেনা।