
মাত্র ১০৮ দিনে পবিত্র কোরআনের হাফেজ হয়েছে আট বছর বয়সী তামিম চৌধুরী। দ্রুত সময়ে ৩০ পারা কোরআন হিফজ (মুখস্থ) করায় আনন্দিত তার পরিবার ও শিক্ষকরা।
নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার কড়িহাটি গ্রামের বাহার চৌধুরী ও মারজাহান আকতার দম্পত্তির একমাত্র ছেলে তামিম চৌধুরী। সে মারকাজুন নাযাত ইন্টারন্যাশনাল হিফজুল কোরআন মাদরাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র।
জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাহার চৌধুরীর তিন মেয়ে ও এক ছেলে। তামিম ২০১৭ সালের ২৭ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। বাবার স্বপ্ন পূরণে তামিমকে মারকাজুন নাযাত ইন্টারন্যাশনাল হিফজুল কোরআন মাদরাসায় ভর্তি করানো হয়। তারপর নাজরানা বিভাগে পড়ার মাত্র ১০৮ দিনে পবিত্র কুরআন হিফজ করে সে।
শিশু তামিম বলে, আলহামদুলিল্লাহ! অল্প সময়ে হাফেজ হতে পেরে আমার কাছে খুব ভালো লাগছে। আমার ওস্তাদরা আমাকে অনেক বেশি সহায়তা করেছেন। ওস্তাদদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। আমি প্রথম ভেবেছিলাম অনেক কঠিন হবে। কিন্তু আল্লাহ আমাকে সহজ করে দিয়েছেন। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন। আমি যেন ভবিষ্যতে বড় একজন আলেম হতে পারি।
তামিমের বাবা বাহার চৌধুরী ও মা মারজান আকতার বলেন, কোরআনের হাফেজ হয়ে তামিম আমাদের স্বপ্ন পূরণ করেছে। আমরা মাদরাসার সব শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। তার জন্য সবার কাছে দোয়া প্রার্থনা করছি। আল্লাহ যেন আমাদের ছেলেকে ইসলামের জন্য কবুল করে।
মারকাজুন নাযাত ইন্টারন্যাশনাল হিফজুল কোরআন মাদরাসার পরিচালক হাফেজ মাওলানা সিফাতুল ইসলাম বলেন, শিশুটি মাত্র ছয় মাস নাজেরানা পড়ে হেফজ বিভাগে ছবক শুরু করে। ছবক শুরু থেকে ৩ মাস ১০ দিনে অর্থাৎ মাত্র ১০৮ দিনে কোরআনে হেফজ সম্পন্ন করে। তামিমের এমন মেধা অর্জনে আমাদের দোয়া থাকবে।
পাঠকের মতামত