কক্সবাজারে উখিয়া উপজেলা সীমান্তের নাফ নদীতে মাছ ধরার সময় ধরে নিয়ে যাওয়া ১০ জেলেকে ৩৬ ঘণ্টা পর ছেড়ে দিয়েছে মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠী ‘আরাকান আর্মি’র সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার (২ মে) রাত পৌনে ৮ টায় বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্ত দিয়ে এসব জেলেদের ছেড়ে দেয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন উখিয়ার ইউএনও তানভীর হোসেন।
ফেরত আসা জেলেরা হলেন: উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের রহমতের বিল এলাকার হোসেন আলীর ছেলে জানে আলম (৩৫), মৃত আবদুস ছালামের ছেলে আব্দুর রহিম (৪০), মৃত জালাল আহমদের ছেলে আনোয়ারুল ইসলাম (৩৭) ও সাইফুল ইসলাম (৩০), মৃত আলী আহমদের ছেলে আয়ুবুল ইসলাম (৩০), আবু তাহেরের ছেলে শাহীন (২০), গৌজঘোনা এলাকার আলী আহমদের ছেলে আবদুর রহিম (৫২) এবং একই ইউনিয়নের পুটিবনিয়া এলাকার মৃত মিয়া হোসেনের ছেলে ওসমান গণী (৩০), মৃত আবুল শামার ছেলে ওসমান (৩৫), আয়ুব ইসলামের ছেলে আবুল হাশিম (৩৫)।
বুধবার (১ মে) সকালে উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের নাফনদীর অংশের মোদিরখালে মাছ ধরছিলেন স্থানীয় ১০ জেলে। এক পর্যায়ে মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী আরাকান আর্মির একদল সদস্য অস্ত্রের মুখে এসব জেলেদের জিন্মি করে ধরে নিয়ে যায়।
ইউএনও তানভীর বলেন, বাংলাদেশি ১০ জেলেকে আরাকান আর্মি ধরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বুধবার দুপুরে তাকে অবহিত করেন। পরে তাৎক্ষণিক ঘটনাটি বিজিবিসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছিল। এরপর থেকে এসব জেলেদের ফেরত আনতে বিজিবিসহ সীমান্ত সংশ্লিষ্টদের তৎপরতা শুরু করে।
তিনি বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ৮ টায় নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশি ১০ জেলেকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।’
ইউএনও আরও বলেন, ‘সীমান্তের এপার পৌঁছার পর বাংলাদেশি এসব জেলেদের বিজিবির হেফাজতে নেয়া হয়। পরে তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে স্ব স্ব বাড়িতে ফেরত পাঠানো হয়েছে।’
পালংখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম. গফুর উদ্দিন চৌধুরী বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ফেরত আসা জেলেরা স্ব স্ব বাড়িতে নিরাপদে ফিরেছেন। তবে তাদের কোন ধরনের নির্যাতন করা হয়নি বলে ফেরত আসা জেলেরা জানিয়েছে।
পাঠকের মতামত