বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে দেশে আর কোনো নির্বাচন হবে না। এই সরকারকে অবশ্যই পদত্যাগ করতে হবে। পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে। কারণ জনগণ আওয়ামী লীগকে বিশ্বাস করে না, সুষ্ঠু নির্বাচন তাদের চরিত্রে নেই।
আজ রোববার বিকেলে সিলেট নগরের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল আয়োজিত তারুণ্যের সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ১২ জুলাই ঢাকায় তারুণ্যর সমাবেশ হবে। সেই সমাবেশের মধ্যদিয়ে তরুণ সমাজকে একত্রিত করে সরকার পতনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
তিনি বলেন, নিজেদের মতো কাটছাঁট করা সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন করতে চায় আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না। তার প্রমাণ গত দুটি নির্বাচনে পাওয়া গেছে। দেশে এখন কারো ভোটাধিকার নেই। জনগণ ভোট দিতে পারে না। ভোটাধিকারের কথা বললে হামলা, নির্যাতন, গুম, খুন করা হয়।
স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, আওয়ামী লীগ কথায় কথায় উন্নয়নের কথা বলে। অথচ উন্নয়নের নামে তারা লুটপাট করছে। শতভাগ বিদ্যুতের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটে নেওয়া হয়েছে। গত দুই বছরে বিদ্যুৎ খাতে ১ লাখ ৪৮ হাজার কোটি টাকা লুট করা হয়েছে। কেবল বিদ্যুৎ নয়, সবক্ষেত্রেই লুটপাট চলছে। যে পদ্মা সেতু নির্মাণে ১০ হাজার কোটি টাকা প্রয়োজন, সেটির জন্য ২০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। দুর্নীতি করে স্বাস্থ্য ও শিক্ষাখাতকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।
সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্যে যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান আজ দেশ বাঁচানোর ডাক দিয়েছেন। তার আহ্বানে রাজপথে নেমে এসেছে বাংলার তরুণ সমাজ। আজ তরুণরা জেগে উঠেছে। তরুণরা জেগে উঠলে কোনো স্বৈরশাসকই ক্ষমতায় টিকতে পারেনি। এই সরকারও টিকে থাকতে পারবে না।
আরও পড়ুন: বিএনপির একদফা ঘোষণা ১২ জুলাই
যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান ও ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলের সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশেষ বক্তার বক্তব্য রাখেন ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হোসেন জীবন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা তাহসীনা রুশদীর লুনা, জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, মহানগর কমিটির সভাপতি নাসিম হোসাইন প্রমুখ।
বিকেলে সমাবেশ শুরু হলেও দুপুর থেকে সিলেট বিভাগের বিভিন্ন স্থান থেকে মিছিল নিয়ে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী সমাবেশস্থলে উপস্থিত হন