প্রতি বছর ১৫ আগস্টে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে আসা কেক কেটে নিজের জন্মদিন পালন করলেও এ বছর এ ধরনের অনুষ্ঠান বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। দেশের চলমান সঙ্কট, বন্যার্তদের প্রতি সহমর্মিতার বিষয়টি মাথায় রেখে তিনি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তার কার্যালয়ের প্রভাবশালী এক কর্মকর্তার সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আগামীকাল সোমবার খালেদা জিয়া ৭১ এ পা দিচ্ছেন। চেয়ারপারসনের কার্যালয়সূত্রটি বাংলা ট্রিবিউনকে জানায়, বরাবর খালেদা জিয়া নেতাকর্মীদের আনা কেক কেটে নিজের জন্মদিন পালন করতেন। গ্রহণ করতেন নেতাকর্মীদের ফুলেল শুভেচ্ছা। কাটা কেক তিনি এতিমখানাসহ দরিদ্র অনেকের মাঝে বিলিয়ে দিতেন। তবে এবার সেটি হচ্ছে না। দেশের বর্তমান সংকট, বন্যা পরিস্থিতি মিলিয়ে তিনি নিজের জন্মদিন উদযাপন বাতিল করেছেন।
সূত্র আরও জানায়, পরিস্থিতির দিকে খেয়াল করেই প্রয়াত ছোটসন্তান আরাফাত রহমান কোকোর জন্মদিনও তিনি পালন করেননি।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান বিষয়টি এখনও তার কাছে পৌঁছেনি বলে দাবি করেন। তার ভাষ্য, সিদ্ধান্ত হলে হবে হয়তো, কিন্তু আমি এখনও জানি না।
বিএনপির একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, গত ৪ আগস্ট খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে তাকে ১৫ আগস্ট জন্মদিনের কেক না কাটতে পরামর্শ দেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী।
সূত্রের ধারণা, কাদের সিদ্দিকীর আহ্বানটিকে গুরুত্ব দিয়েছেন খালেদা জিয়া।
এর বাইরে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বরাবরই আহ্বান ছিল, খালেদা জিয়া যেন ১৫ আগস্টে জন্মদিন উদযাপন না করেন।
খালেদা জিয়া গত বছরেও প্রথম প্রহরে নিজের জন্মদিনের কেক কাটেননি। যদিও শেষ প্রহরে শনিবার সন্ধ্যায় রাজনৈতিক কার্যালয়ে কেক কেটে শুভেচ্ছা গ্রহণ করেছিলেন বিএনপি প্রধান। এ বছরও প্রথম প্রহরে কেক কাটার পরিকল্পনা ছিল না তার।
এ বিষয়ে জানতে চেয়ে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত সহকারী শিমুল বিশ্বাস, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানকে ফোন করা হলে তারা সেলফোন রিসিভ করেননি।
জানতে চাইলে অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আমি শুনেছি তিনি জন্মদিনের কেক কাটবেন না।বাংলা ট্রিবিউন