কক্সবাজারের সীমান্তবর্তী উপজেলার নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক উৎপাদিত বিভিন্ন পণ্যের উপর টোল-ট্যাক্স আদায়ের জন্য ইজারা কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
প্রতিবছরের ন্যায় এবারও নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদ হল রুমে উন্মুক্ত ইজারা কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইজারাদাররা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ গ্রহণ করে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর ১০ গুণের চেয়ে বেশী রাজস্ব আদায় হয়েছে সরকারের। বিশেষ করে এই টোল পয়েন্টে অতীতের সমস্ত রেকর্ড ভঙ্গ করে ডাক হয়। এই পয়েন্ট বিগত সময়ে ১৬ লাখের বেশি ডাক হয়নি। সেখানে এ বছর ১ কোটি ৬৬ লাখ ডাক হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) দুপুর ১ টায় চলতি বছরের সর্বোচ্চ দামে ইজারা ডাকেন নুরুল ইসলাম।
তিনি ১ কোটি ৬৬ লাখ টাকায় ইজারা ঘোষণা করেছেন। যা গত বছর ছিল মাত্র ১৬ লাখ টাকা। এতে এক কোটি ৬৫ লাখ টাকায় দ্বিতীয় ডাককারী ছিলেন সিঙ্গার রহিম ও এক কোটি ৬৪ লাখে তৃতীয় ছিলেন ব্যবসায়ী জামশেদ আলম।
এ সময় নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকারিয়া ও সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল আবছার ইমন উপস্থিত ছিলেন। ইজারা ডাককারী ছাড়াও এতে দেশের গুরুত্বপূর্ণ গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তা, সাংবাদিক ও পরিষদের সকল সদস্যবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গত বছর এটির ডাক ছিল ১৬ লক্ষ টাকা। এ বছর ১ কোটি ৬৬ লাখ হয়। যাতে করে গত বছরের তুলনায় এক লাফে উঠে দাঁড়ায় দেড় কোটি টাকা অতিরিক্ত রাজস্ব পাওয়ায় পেছনে অবদান ছিল নব নির্বাচিত উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যাপক তোফাইল আহমদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকারিয়া ও সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল আবছার ইমনের। ফলে তাদেরকে এলাকাবাসী সাধুবাদ দেন সরকারের মুনাফা বৃদ্ধির জন্যে।
সদর ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আবছার ইমন এ প্রতিবেদককে বলেন, গত বছর এ ডাক ছিল ১৬ লাখ। এ বছর ডাক হলো ১ কোটি ৬৬ লাখ। তিনি আরো বলেন, প্রকাশ্যে এ ডাক সম্পন্ন হয়। উপজেলার সব সেক্টরের কর্মকর্তারা এতে উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ জাকারিয়া জানান, বিষয়টি খুবই ইতিবাচক। কারণ সরকার এই টোল পয়েন্ট থেকে প্রায় দেড় কোটি টাকার বেশি রাজস্ব পাবে। ইজারা পেতে ৪৩ জন ইজারাদার অংশ নিয়েছিলেন।
তিনি আরও জানান, প্রতি বছর ৬% হারে দর বৃদ্ধি পায়। সে ক্ষেত্রে স্বাভাবিক নিয়মেই দর বৃদ্ধি পাচ্ছে। দরদাতাদের প্রতিযোগিতার কারণে হাট বাজারসহ টোল পয়েন্টের ইজারা দর আরো বেড়ে যায়।