ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ০২/০১/২০২৫ ৮:৪০ এএম

পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, ২০২৫ সালে বাংলাদেশের জন্য প্রধান অগ্রাধিকার হবে রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলার পাশাপাশি তিনটি প্রধান দেশ- যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও চীনের সঙ্গে দৃঢ় দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বজায় রাখা।

বুধবার বিকালে তার মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গা সংকট সমাধান করা, এই তিনটি দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা এবং স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করে আমাদের অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক প্রচেষ্টাকে এগিয়ে নেওয়াকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।’

কোনো একটি দেশের চেয়ে অন্যকোনো দেশের ক্ষেত্রে কোনো বিশেষ অগ্রাধিকার রয়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তৌহিদ বলেন, যুক্তরাষ্ট্র, ভারত বা চীনের ক্ষেত্রে কোনোভাবে কম অগ্রাধিকার দেওয়া হয় না।

তিনি বলেন, ‘আমরা এই তিনটি দেশের সাথে সম্পর্ক বজায় রাখার ক্ষেত্রে সমান অগ্রাধিকার দিই। কারণ তাদের সাথে আমাদের বিভিন্ন স্বার্থ গভীরভাবে সম্পৃক্ত রয়েছে। বাংলাদেশের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখার ক্ষেত্রেও এই দেশগুলোর নিজস্ব স্বার্থ রয়েছে।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা আশা প্রকাশ করেন যে এ বছরের শেষ নাগাদ বিশ্বশক্তিগুলোর সঙ্গে ঢাকার সম্পর্ক আরও জোরদার হবে।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণের জন্য ঢাকার অনুরোধের কোনো সুরাহা না হলে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের অবস্থা কী হবে সে সম্পর্কে জানতে চাইলে তৌহিদ বলেন, এটি হচ্ছে দুই প্রতিবেশীর মধ্যে বিভিন্ন দ্বিপক্ষীয় সমস্যার মধ্যে মাত্র একটি।

তিনি উল্লেখ করেন, হাসিনাকে দিল্লি থেকে ফিরিয়ে আনা এবং ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে ঢাকার প্রচেষ্টা সমানতালে চলবে। ‘আমি বিশ্বাস করি উভয় প্রচেষ্টা একই সাথে এগিয়ে যাবে।’ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা উল্লেখ করেন যে, দুই দেশের মধ্যে বেশ কিছু দ্বিপক্ষীয় বিষয় রয়েছে এবং আলোচনার মাধ্যমে সেগুলো সমাধানের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

প্রত্যর্পণ চুক্তির অধীনে, সম্প্রতি দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর পদক্ষেপের জন্য ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে একটি কূটনৈতিক চিঠি পাঠানো হয়েছে।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে, তারা চিঠির বিষয়ে ভারতের জবাবের অপেক্ষা করবেন এবং দিল্লি থেকে উত্তর পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

চীনের সাথে সম্পর্কের বিষয়ে তৌহিদ দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে দ্বিপক্ষীয় আলোচনার জন্য ২০ জানুয়ারি চীন সফরের পরিকল্পনার কথাও জানান।

তিনি তার আসন্ন দ্বিপক্ষীয় বেইজিং সফরের সময় আলোচনার জন্য নির্দিষ্ট বিষয়গুলো সম্পর্কে বিশদ বিবরণ না দিয়ে বলেন, ‘চীন আমন্ত্রণ জানিয়েছে এবং আমরা অভিন্ন বিষয়াদি আলোচনা করতে যাচ্ছি।’

তিনি এ সফরকে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের পাশাপাশি চীনের সঙ্গে ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ঢাকার প্রয়াস হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মিয়ানমারের রাখাইনের পরিস্থিতি অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং, কারণ সেখানকার বাস্তবতা বদলে গেছে।

তিনি আরো বলেন, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই বাংলাদেশের মূল লক্ষ্য। ‘এটি ছাড়া, রোহিঙ্গারা (মিয়ানমারে) ফিরতে রাজি হবে না।

পাঠকের মতামত

সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪

ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় চারজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন। এরমধ্যে নিমতলী এলাকায় ...

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন ২১ লাখ ডলার পাচারের তথ্য না দিয়ে জরিমানা গুনল ব্র্যাক ব্যাংক

বেসরকারি ব্র্যাক ব্যাংকের তিন গ্রাহকের বিরুদ্ধে ব্যবসার আড়ালে ২১ লাখ মার্কিন ডলার পাচারের তথ্য পেয়েছে ...