ঢাকা: মানসম্মত ওষুধ উৎপাদনে ব্যর্থ ২০ ওষুধ কোম্পানির সকল ধরনের উৎপাদন বন্ধে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে এ বিষয়ে জারি করা হাইকোর্টের রুল ১৮ আগস্টের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী, ফিদা এম কামাল।
রিটকারীর পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউসি ও মনজিল মোরসেদ।
এর আগে গত ৭ জুন ২০টি ওষুধ কোম্পানির সকল ধরনের উৎপাদন বন্ধে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের এই রায় স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেন এমএসটি ফার্মা ও ইউনিভার্সেল ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেড।
২০টি ওষুধ কোম্পানি হলো- এক্সিম ফার্মাসিউটিক্যাল, এভার্ট ফার্মা, বিকল্প ফার্মাসিউটিক্যাল, ডলফিন ফার্মাসিউটিক্যাল, ড্রাগল্যান্ড, গ্লোব ল্যাবরেটরিজ, জলপা ল্যাবরেটরিজ, কাফমা ফার্মাসিউটিক্যাল, মেডিকো ফার্মাসিউটিক্যাল, ন্যাশনাল ড্রাগ, নর্থ বেঙ্গল ফার্মাসিউটিক্যাল, রিমো কেমিক্যাল, রিড ফার্মাসিউটিক্যাল, স্কাইল্যাব ফার্মাসিউটিক্যাল, স্পার্ক ফার্মাসিউটিক্যাল, স্টার ফার্মাসিউটিক্যাল, সুনিপুণ ফার্মাসিউটিক্যাল, টুডে ফার্মাসিউটিক্যাল, ট্রপিক্যাল ফার্মাসিউটিক্যাল এবং ইউনিভার্সেল ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেড।
স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালককে সাত দিনের মধ্যে উৎপাদন বন্ধ করে দুই সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
একইসঙ্গে ১৪টি ওষুধ কোম্পানির অ্যান্টিবায়োটিক উৎপাদন বন্ধেরও নির্দেশ দেওয়া হয়। এই ১৪টি কোম্পানি হচ্ছে- আদ-দ্বীন ফার্মাসিউটিক্যাল, আলকাদ ল্যাবরেটরিজ, বেলসেন ফার্মাসিউটিক্যাল, বেঙ্গল ড্রাগস, ব্রিস্টল ফার্মা, ক্রিস্ট্যাল ফার্মাসিউটিক্যাল, ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যাল, মিল্লাত ফার্মাসিউটিক্যাল, এমএসটি ফার্মা, অরবিট ফার্মাসিউটিক্যাল, ফার্মিক ল্যাবরেটরিজ, পনিক্স কেমিক্যাল, রাসা ফার্মাসিউটিক্যাল এবং সেভ ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেড।
গত ৫ মে মানসম্পন্ন ওষুধ উৎপাদনে ব্যর্থ প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিলের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদনটি দায়ের করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।