৩৭ দিনের প্রচেষ্টায় গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুরে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন ২১ ফুট লম্বা এবং ৯ ফুট প্রশস্ত কাঁঠালের ভাস্কর্য নির্মাণ করেছেন। এত নিখুঁতভাবে করা হয়েছে, দূর থেকে বোঝার উপায় নেই এটি ভাস্কর্য। জাতীয় ফল কাঁঠালের ভাস্কর্য দেখতে প্রতিদিন দর্শনার্থীরা ভিড় করছে।
জাতীয় ফল রপ্তানি ও উৎপাদন বৃদ্ধিতে উৎসাহ বাড়ানোর জন্যই মূলত গত ১৫ জানুয়ারি বিএডিসি অভ্যন্তরে এ কাঁঠালের ভাস্কর্য তৈরি শুরু হয়৷ এটির কাজ শেষ হয় ২১ ফেব্রুয়ারি। বিএডিসি ড. জাহাঙ্গীর আলম নকশা করেন এবং কয়েকজন চারুকলার শিক্ষার্থী ও লেবার কাঁঠালের ভাস্কর্য নির্মাণ করেন৷
বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের মহাব্যবস্থাপক মো. ইসবাদ জানান, গাজীপুরের কাঁঠাল প্রসিদ্ধ। এই কাঁঠাল কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণের মধ্য দিয়ে বিদেশে রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভব। কাঁঠালের বহুমুখী ব্যবহার যদি নিশ্চিত করা যায়, তাহলে অভ্যন্তরীণ চাহিদা এবং বিদেশে রপ্তানির মাধ্যমে অনেক টাকা আয় করা সম্ভব হবে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই কাঁঠালের ভাস্কর্য দেখে দেশ-বিদেশে জাতীয় ফলের পরিচিতি বাড়বে।
বিএডিসির উদ্যান উন্নয়ন কেন্দ্রের যুগ্ম পরিচালক ড. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, গাজীপুরে প্রচুর কাঁঠাল উৎপাদন হয়৷ ভাস্কর্যটি মানুষকে উৎসাহ দেয়ার জন্য তৈরি করা হয়েছে। এটি দেখতে দর্শনার্থীরা আসছেন। তারা এটি দেখার পাশাপাশি কাঁঠালের চারাও কিনছেন। তারা ভাস্কর্য দেখা শেষে কাঁঠালের বিভিন্ন জাত সংগ্রহ করছেন।