প্রকাশিত: ২২/০৭/২০১৬ ৭:৪৪ এএম

mail.google.comআতিকুর রহমান মানিক, কক্সবাজার::

দেশজ রপ্তানীবাণিজ্যে চিংড়ি ও  মৎস্যজাতপণ্য গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। প্রতিবছর উল্লেখযোগ্য পরিমান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হচ্ছে এ খাত থেকে। সরকারী বিভিন্ন পদক্ষেপের ফলে মৎস্য উৎপাদন ও রপ্তানী বাড়ছে। ২০১৪-১৫ সালে বাহাত্তর হাজার অাটশত অাটাশি টন  হিমায়িত চিংড়ি ও মৎস্যজাত পণ্য রপ্তানী করে দেশে ৪৬৬০.৬০ কোটি টাকা আয় হয়েছে। চলমান জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের ২য় দিনে “মৎস্য সেক্টরে বর্তমান সরকারের অগ্রগতি” বিষয়ক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেছেন বক্তারা। কক্সবাজার মৎস্য অধিদপ্তর ও  জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০১৬ উদযাপন কমিটির আয়োজনে ২১ জুলাই (বৃহস্পতিবার) সকাল ১০ টায় জেলা মৎস্য কর্মকর্তার সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত উক্ত সভায় বিপুল সংখ্যক জেলে-মৎস্যজীবিরা উপস্হিত ছিলেন। মৎস্য সেক্টরের সার্বিক উন্নয়ন, প্রজনন মৌসূমে মা-ইলিশ রক্ষা কার্য্যক্রম, জাটকা সংরক্ষন কর্মসূচী, চিংড়ি-মৎস্য চাষীদের প্রশিক্ষন, জেলে নিবন্ধন কর্মসূচী ও জেলে-মৎস্যজীবিদের কল্যানে বর্তমান সরকারের গৃহিত বিভিন্ন পদক্ষেপ সম্পর্কে উক্ত সভায় মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের মাধ্যমে বড় পর্দায় ব্রিফিং করেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা অমিতোষ সেন এবং সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা (সদর) ডঃ মঈন উদ্দীন আহমদ। তথ্যভিত্তিক উক্ত প্রেজেন্টশনে জানানো হয়, দেশে ২০১৪-২০১৫ সালে চিংড়ি উৎপাদন হয়েছে ২৩০২৪৪ টন। ২০০৮-২০০৯ সালে দেশে ইলিশ মাছের বাৎসরিক মোট উৎপাদন ছিল ২,৯৮,৯২১ টন, ২০১৪-২০১৫ সালে ইলিশের মোট উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়ে ৩,৮৭,২১১ টনে উন্নীত হয়েছে। বাংলাদেশে ২০০৮-২০০৯ সালে দেশে বছর ভিত্তিক মোট মৎস্য উৎপাদন ছিল সাতাশ লাখ এক হাজার তিনশত সত্তর টন, ২০১৪-১৫ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ছত্রিশ লাখ চুরাশি হাজার দুইশত পয়তাল্লিশ টনে। ২০০৮-২০০৯ সালে মৎস্য  ও মৎস্যজাত পণ্য রপ্তানী করে আয় হয় ৩২৪১.৪৩ কোটি টাকা,  ২০১৪-১৫ সালে তা বৃদ্ধি পেয়ে ৪৬৬০.৬০ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে। এ ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কাঁকড়া ও কুঁচিয়ার চাহিদা থাকায় কাঁকড়া ও কুঁচিয়া চাষে সরকার বিশেষ প্রকল্প হাতে নিয়েছে। কক্সবাজার অাঞ্চলিক মৎস্য কর্মকর্তা মোখলেসুর রহমান ও দশ একর/এগার একর চিংড়ি চাষ প্রকল্প (এডিবি)’র প্রজেক্ট ম্যানেজার মিজানুর রহমানসহ মৎস্য অধিদপ্তরীয় কর্মকর্তা-কর্মচারীগন ও সাংবাদিকরা এতে উপস্হিত ছিলেন। সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা (সদর)  ডঃ মঈন উদ্দীন আহমদ বলেন, একই দিন কক্সবাজার মৎস্য অধিদপ্তরের বিশেষ টীম অবৈধ পোনা আহরনকারীদের বিরূদ্ধে দিনব্যাপী অভিযান পরিচালনা করেছে। সমুদ্র সৈকতের ডায়াবেটিক হাসপাতাল পয়েন্ট থেকে নাজিরারটেক পর্যন্ত পরিচালিত উক্ত অভিযানে অবৈধভাবে আহরিত আনুমানিক ১৫ হাজার বাগদা চিংড়ি পোনা আটক করে সাগরে অবমুক্ত করা হয়। অবৈধ পোনা আহরণকারীদের এসময় সতর্ক করা হয় বলেও জানান তিনি।

পাঠকের মতামত

সেন্ট মার্টিনে রিসোর্টের ছড়াছড়ি, সৈকতে চলছে ক্যান্ডল লাইট ডিনার পার্টি

তোফায়েল আহমদ, কক্সবাজার জীববৈচিত্র্য রক্ষায় পরিবেশ অধিদপ্তর ১৯৯৯ সালে সেন্ট মার্টিন দ্বীপকে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা ...

রোহিঙ্গা সমস্যা কক্সবাজারের উন্নয়নে বাধা: সাবেক হুইপ শাহজাহান চৌধুরী

কক্সবাজার প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী পরিষদের নেতাদের সাথে মতবিনিময় সভা করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) কক্সবাজার ...