ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ১১/১২/২০২৩ ৯:২০ পিএম , আপডেট: ১১/১২/২০২৩ ১০:৪৫ পিএম
ফাইল ছবি

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে সারা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আগামী ২৯ ডিসেম্বর থেকে মাঠে থাকবে সেনাবাহিনী। তবে এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের চাওয়ায় ‘অনুমোদন’ দিতে হবে রাষ্ট্রপতিকে।

সোমবার (১১ ডিসেম্বর) সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

নির্বাচনে সেনা মোতায়েন হবে কি না এ প্রশ্নে সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় আগারগাঁও নির্বাচন ভবনের সভাকক্ষে বৈঠকে বসেন সেনাবাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার ও নির্বাচন কমিশনাররা। বৈঠকে ইসির পক্ষে নেতৃত্ব দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। এ বৈঠকের পরই নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের নীতিগত সিদ্ধান্তের ঘোষণা এসেছে। যদিও এখনো রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের বিষয়টি রয়েই গেছে।

সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, ১৩ দিনের জন্য অর্থাৎ ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩৫ হাজারের বেশি সেনা সদস্য মোতায়েন করা হয়েছিল। এবার যদি বেশি প্রয়োজন হয়, সেভাবেই মোতায়েন করা হবে। এজন্য অবশ্যই সবসময় প্রস্তুতি আছে। গতবার ৩৮৮ উপজেলায় সেনা মোতায়েন করা হয়েছিল বলেও জানান তিনি।

তিনি বলেন, তারা (নির্বাচন কমিশন) চাচ্ছে সেনা মোতায়েন হোক। কীভাবে মোতায়েন হবে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তারা রাষ্ট্রপতির কাছে রিকমেন্ডেশন করবেন। তিনি যদি সিদ্ধান্ত দেন তবে অবশ্যই সেনা মোতায়েন হবে। ইসি যেভাবে সহায়তা চাইবে সেভাবেই আমরা সহায়তা করব।

তিনি আরও বলেন, তারা (ইসি) চাচ্ছে একটা সুন্দর, সুষ্ঠু ও ফ্রি ফেয়ার নির্বাচন হোক। এ ব্যাপারে আমাদের সামান্য সন্দেহ নেই। তারা অত্যন্ত সিরিয়াস। আমরা সশস্ত্র বাহিনী যদি ডেপ্লয় হই, আমার অবশ্যই সাহায্য-সহায়তা করব। এটাই ছিল প্রারম্ভিক আলোচনা। রাষ্ট্রপতি অনুমতি দিলে আমরা অতীতের মতোই আবার ডেপ্লয় হব। ইন এইড টু সিভিল পাওয়ারের আওতায় মোতায়েন হব।

এর আগে, ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেন, সশস্ত্র বাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, জননিরাপত্তা বিভাগ ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবদের সঙ্গে ইসি আলোচনা করেছে। এক্ষেত্রে সশস্ত্র বাহিনী নির্বাচনে কী করে সহায়তা করতে পারে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

ইসি সূত্র জানায়, এবারের নির্বাচনে সাড়ে ৭ লাখ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ভোটের মাঠে কাজ করবে। এবার আনসার সদস্য ৫ লাখ ১৬ হাজার জন, পুলিশ ও র‌্যাবের এক লাখ ৮২ হাজার ৯১ জন ও কোস্টগার্ডের দুই হাজার ৩৫০ জন, বিজিবির ৪৬ হাজার ৮৭৬ জন নিয়োজিত থাকবেন।

পাঠকের মতামত

রোহিঙ্গাদের আত্তীকরণের পক্ষে নয় বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র সচিব

রোহিঙ্গাদের আত্তীকরণ বাংলাদেশের জন্য বিবেচনাযোগ্য বিকল্প নয় বলে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) ঢাকা প্রধান ল্যান্স ...

ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের হাসপাতালে ঢুকতে বিধিনিষেধ

ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের হাসপাতালে প্রবেশে বিধিনিষেধসহ ১০টি নির্দেশনা জারি করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। সরকারি ও বেসরকারি ...

আমাদের নিয়ত সহিহ, গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার হলেই নির্বাচন: সিইসি

অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন করতে নির্বাচন কমিশন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে মন্তব্য করেছেন নতুন নির্বাচন কমিশনার ...