ডেস্ক রিপোর্ট ::
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাওয়া ৩৪তম বিসিএসের নন-ক্যাডারদের নিজ ইউনিয়ন, থানা বা উপজেলাতেই পদায়ন করা হচ্ছে। তদবির বাণিজ্য ঠেকাতে এবং তৃণমূলে শিক্ষার মানোন্নয়নে এই সি্দ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের শূন্যপদ পূরণে সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) সুপারিশ করা ৮৯৮ জন নন-ক্যাডারের মধ্যে চলতি মাসেই ৪৬৯ জনকে নিয়োগ দিচ্ছে সরকার। প্রধান শিক্ষকের প্রায় ২০ হাজার শূন্যপদের বিপরীতে জরুরিভাবে এই শিক্ষকদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।
নিয়োগের সঙ্গে সঙ্গে তাদের নিজ এলাকায় পদায়ন করতে ইতোমধ্যেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আনুষ্ঠানিকতা শেষে এ মাসের মাঝামাঝি নিয়োগ ও পদায়ন সম্পন্ন করা হবে বলে মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ এফ এম মঞ্জুর কাদির বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘পিএসসির সুপারিশ ও প্রধান শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালার আলোকে ৩৪তম বিসিএস নন-ক্যাডার প্রধান শিক্ষকদের পদায়ন করা হবে নিজ নিজ থানা বা উপজেলায়। তৃণমূলে প্রাথমিক শিক্ষার মনোন্নয়নে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাছাড়া এতে পদায়নের জন্য তদবিরও হবে না। শিক্ষকরা দালালদের পাল্লায় পড়ে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্তও হবেন না।’
২০১৪ সালের ৯ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকদের দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড পদমর্যাদায় উন্নীত করেন। কিন্তু গেজেটেড পদমর্যাদা অনুযায়ী, দশম গ্রেড বাস্তবায়ন হয়নি। বর্তমানে প্রশিক্ষণবিহীন প্রধান শিক্ষকরা ১২তম গ্রেডে বেতন পাচ্ছেন। আর যাদের প্রশিক্ষণ রয়েছে তাদের ১১তম গ্রেডে বেতন দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে, নারী শিক্ষকদের সুবিধা দিতে গত ২৮ সেপ্টেম্বর দেশের সব ইউনিয়নের প্রাথমিক শিক্ষকের শূন্যপদ কত তা জানাতে নির্দেশ দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এরপর নারী শিক্ষকদের বাড়ির কাছাকাছি বিদ্যালয়ে পদায়নের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।