শুক্রবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৪
৪২ হাজার ইয়াবা এজাহারে হয়ে গেল ১২ হাজার!
প্রকাশিত - ডিসেম্বর ২০, ২০২৪ ৮:৩৬ এএম
কক্সবাজার শহরের একটি বাসা থেকে গত ১১ ডিসেম্বর রাতে ৪২ হাজার ইয়াবা ও ১৫ লাখ টাকা উদ্ধার করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর (ডিএনসি)। উদ্ধার করা ইয়াবাগুলো মামলার এজাহারে হয়ে যায় ১২ হাজার! এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হলেও গ্রেপ্তার দেখানো হয় শুধুই একজনকে।
এ নিয়ে ৩০ হাজার ইয়াবা ও নগদ অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে কক্সবাজার ডিএনসির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে।
এজাহারে বলা হয়, 'ডিএনসির কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের সহকারী উপ-পরিদর্শক মো. সহিদুল ইসলাম, বকুল কুমার সাহা, সিপাহী মো. মইনুল হাসান, মো. মোস্তফা কামাল, মোম্মদ আব্দুর রহিম, জামিলুর রহমান, রবি দে ও ওয়ারলেস অপারেটর পঞ্চানন পালের সমন্বয়ে একটি টিম উত্তর রুমালিয়ারছড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা চালায়। এ সময় একটি ৬ তলা ভবন থেকে ১২ হাজার ইয়াবাসহ মোহাম্মদ ইব্রাহীমকে আটক করা হয়।’
এদিকে ওই ভবনের নিরাপত্তা প্রহরী মো. আব্দুল্লাহ বলেন, 'ওই দিন ৪২ হাজার ইয়াবা ও ১৫ লাখ টাকাসহ জিয়া উদ্দিন, মোহাম্মদ ইব্রাহীম ও অজ্ঞাত আরেকজনকে আটক করা হয়।’
কক্সবাজার ডিএনসির উপ-পরিদর্শক ও মামলাটির বাদী মো. সানোয়ার হোসেন বলেন, 'আমি যা পেয়েছি, তা দিয়ে মামলা দিয়েছি। আসামী থানায় হস্তান্তর করেছি।'
৪২ হাজার উদ্ধার করে ১২ হাজার দেখানো হয়েছে কোন? তাকে এ প্রশ্ন করা হলে তিনি উত্তর এড়িয়ে যান এবং নিউজ করার পরামর্শ দেন।
এদিকে ইয়াবা আত্মসাতের ঘটনা আড়াল করতে ডিএনসির কোর্ট পরিদর্শক জীবন বড়ুয়ার স্বাক্ষর জালিয়াতি করা হয়। তার প্রমাণ মিলেছে। গত ১১ ডিসেম্বর জীবন বড়ুয়া ছুটিতে ছিলেন। ছুটি শেষে তিনি ১৪ ডিসেম্বর কর্মস্থলে যোগ দেন।
এ বিষয়ে কোর্ট পরিদর্শক জীবন বড়ুয়া বলেন, ‘আমি ওই আসামী চালান কপিতে স্বাক্ষর করিনি।’
তাহলে স্বাক্ষরটি কে দিয়েছে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি মামলার বাদীর (উপ-পরিদর্শক মো. সানোয়ার হোসেন) সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন।
স্বাক্ষরের ব্যাপারে মামলার বাদী উপ-পরিদর্শক মো. সানোয়ার হোসেন জানান, বিষয়টি তিনি অবগত নন।
Copyright © 2024 UkhiyaNews.Com. All rights reserved.