মাঝখান থেকে সড়কের দেড় কিলোমিটার মতো বিলীন। তাতে বাঁশের সাঁকে সংযুক্ত করা হয়েছে। আরও কিছু দুর এগিয়ে দেখা যায় সড়কের অর্ধেক অংশ নেই। এই চিত্র মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়ার চালিয়াতলী-মাতারবাড়ী সংযোগ সড়কের। এটি মাতারবাড়ী ধলঘাট ইউনিয়নের উপজেলা হেডকোয়াটাসের যোগাযোগের প্রধান সড়ক। গত ২১ মে ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর আঘাতে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বেসে ভেঙে গেছে চালিয়াতলী-মাতারবাড়ী সড়কটির বিভিন্ন অংশ। ধারাখাল ব্রীজ থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটারে এখন যানবাহন চলাচল বন্ধ। জোয়ার হলে বাঁশের সাঁকো পানিতে ডুবে গিয়ে চলে চাম্পন। এই অংশ টুকু পারাপারের জন্য তৈরি করা হয়েছে বাঁশের সাঁকো। সরেজমিনে দেখা গেছে, সড়কের বিভিন্ন অংশ বিচ্ছিন্ন থাকায় উপজেলার মাতারবাড়ী ও ধলঘাট ইউনিয়নের অন্তত ৫০ হাজার মানুষ এই সাঁকো পার হতে গিয়ে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
জানা গেছে, টানা দুই যুগ ভোগান্তির কারণে এ দুই ইউনিয়নের মানুষ মনে করছেন তারা অভিশপ্ত মানুষ। তাদের কোন অভিভাবক নেই। তাদের অনেকেই প্রশ্ন করেন বাংলাদেশের নাগরিক কিনা ? ফলে এপ্রিল থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত আতংকে কাটে এখানকার মানুষের দিন। বর্ষা আসলে মনে ভর করে মুত্যু ও ঝুঁকি সত্বে ও এখানকার মানুষ গুলো বেঁচে থাকার স্বপ্ন নিয়ে বসবাস করে। সিঙ্গাপুরের স্বপ্ন দেখিয়ে কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে নিমার্ণ করতে সহায় সম্বল হারানো মানুষ গুলো এখনো স্বপ্নের ঝুঁলি নিয়ে বেঁচে আছেন। বর্ষাকাল ছাড়া ও জোয়ার ভাটার আতংকে এখনো চলছে তাদের কষ্টের জীবন।
স্থানিয় লোকজন জানান, সাধারণ মানুষের কষ্ট লাগবে ভাঙা সড়ক সংস্কার করতে মাতারবাড়ীর চেয়ারম্যান মোঃ উল্লাহ প্রাণপণে ছুটছেন এমপি মহোদয়, রাজনৈতিক নেতা, উপজেলা প্রকৌশলীসহ জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে।
মাতারবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এস.এম আবু হায়দার ও রাজঘাট এলাকার হোছাইন মাসুম বলেন, অসুস্থ রোগিদের চিকিৎসক দেখানোর জন্য চকরিয়া রোগিসহ সাধারণ লোকজন যাতায়তে সাঁকো পার হওয়ার সময় পড়ে গিয়ে আহত হচ্ছে। দুর্ঘটনার শিখার হলে সড়ক সংস্কারে উর্ধ্বতন কৃর্তপক্ষের কোন উদ্যোগ নেই। মাতাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ উল্লাহ বলেন, মানুষের দূভোর্গের কথা চিন্তা করে জরুরি ভিত্তিতে সড়কটি সংস্কারের জন্য উপজেলা প্রকৌশলীকে জানানো হয়েছে। এখনো কোন ফলাফল পাওয়া যাচ্ছেনা।
মহেশখালী উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আবুল কালাম কক্সবাজার ৭১ কে বলেন, ভাঙা সড়কের কারণে এলাকাবাসীর ভোগান্তির অন্তত নেই। সড়কটি দ্রুত সংস্কারের জন্য চেষ্টা চালানো হচ্ছে। তিনি আরোও জানান সড়কটির ক্ষত বড় হওয়ায় আশেক উল্লাহ রফিক এমপি ভাঙা সড়কটি পরির্দশনে করে দ্রুত সংস্কার করা হবে বলে জানিয়েছেন।