বাংলাদেশে ইন্টারনেটে পর্নগ্রাফি ও আপত্তিকর কন্টেন্ট প্রকাশ বন্ধের প্রক্রিয়ার শুরুতে ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো ৫৬০টি সাইট দেখার পথ বন্ধ করেছে বলে জানিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি। খবর বিডিনিউজের।
সংস্থার সচিব সরওয়ার আলম গতকাল বুধবার জানান, গত সোমবার ইন্টারনেট গেইটওয়ে (আইআইজি), ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান (আইএসপি) ও মোবাইল অপারেটরসহ সংশ্লিষ্টদের ৫৬০টি সাইটের তালিকা দেওয়া হয়েছিল। আজ সেই নির্দেশনা কার্যকর হতে দেখা গেছে। তবে কোন কোন সাইট বাংলাদেশ থেকে দেখা বন্ধ হয়েছে সেই তালিকা দেননি বিটিআরসির এই কর্মকর্তা। গত ২৮ নভেম্বর অনলাইন আপত্তিকর কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত সভায় বাংলাদেশে ইন্টারনেটে পর্নগ্রাফি ও আপত্তিকর কন্টেন্ট প্রকাশ বন্ধে একটি কমিটি গঠন করে টেলিযোগাযোগ বিভাগ। ওই কমিটি ইন্টারনেটে পর্নগ্রাফি ও আপত্তিকর কনটেন্টের পূর্ণাঙ্গ ওয়েব তালিকা প্রস্তুত করে বাংলাদেশে সেগুলোর প্রদর্শন বন্ধে তিন স্তরের কারিগরি প্রস্তাব তৈরি করবে বলে সে সময় জানানো হয়েছিল। ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম গত ১২ ডিসেম্বর বলেছিলেন, যে সব পেইজ দেশের ভেতর জেনারেট হচ্ছে, সেগুলো র্যানডম বন্ধ করবে আইএসপিগুলো। সব আইএসপিকে এ সাইটগুলো বন্ধ করতে হবে, কারণ কেউ যদি ব্লক না করে তাহলে তাদের কাস্টমার বেড়ে যাবে।
তবে দেশের বাইরের পর্নসাইটগুলো বাংলাদেশে দেখার পথ পুরোপুরি বন্ধ করা যে কঠিন হবে, সে কথাও তিনি স্বীকার করেছিলেন সেদিন। তারানা সেদিন বলেছিলেন, ৮০ থেকে ৭০ ভাগ পারলেও অনেক বড় কাজ হবে। বিটিআরসির হিসাবে গত সেপ্টেম্বরে দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৬ কোটি ৬৮ লাখের বেশি। এর মধ্যে ৬ কোটি ৩০ লাখের বেশি মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকেন। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে কত শতাংশ নিয়মিত পর্নসাইটে যান, সে বিষয়ে সরকারি পর্যায়ে কোনো পরিসংখ্যান নেই। তবে চলতি বছর বেসরকারি সংস্থা মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের চালানো এক জরিপের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকার স্কুলগামী শিশুদের প্রায় ৭৭ শতাংশ নিয়মিতভাবে পর্নোগ্রাফি দেখছে।