বিদ্রোহীদের আক্রমনে একের পর এক এলাকার নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার। ফাইল ছবি
মিয়ানমারের প্রতিরোধ যোদ্ধাদের আক্রমণের মুখে আরও বেশ কয়েকটি ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে জান্তা বাহিনী। গত ৫ দিনে কাচিন ও কারেন রাজ্য এবং তানিনথারি, বাগো, সাগাইং অঞ্চলে কয়েকটি সেনাঘাঁটি ও অন্তত ৪০ জন সেনা হারিয়েছে তারা। এদিকে, দেশটিতে জোরপূর্বক সেনাবাহিনীতে নিয়োগের সাথে জড়িত জান্তা কর্মকর্তাদের হত্যা করছে সশস্ত্র বিদ্রোহীরা।
মিয়ানমারের জান্তা ও সশস্ত্র প্রতিরোধ যোদ্ধাদের মধ্যকার লড়াইয়ের কারণে বেশ কয়েক মাস ধরে উত্তপ্ত দেশটির পরিস্থিতি। বিভিন্ন এলাকায় বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর আক্রমণে কোনঠানা হয়ে পড়েছে সেনারা। প্রায় প্রতিদিনই জান্তার একাধিক সেঁনাঘাটি দখলে নিচ্ছে সশস্ত্র বিদ্রোহীরা। প্রতিরোধ যোদ্ধাদের হামলায় প্রাণ হারাচ্ছে অনেক সেনা।
সোমবার চীন সীমান্তবর্তী কাচিন রাজ্যের ভামো শহরে জান্তার একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি দখলে নিয়েছে বিদ্রোহী কাচিন ইনডিপেনডেন্স আর্মি ও তাদের মিত্র প্রতিরোধ বাহিনী। এনিয়ে গত ২২ দিনে রাজ্যটিতে ৬০টির বেশি সেনা ঘাঁটির দখল নিল তারা।
এদিকে, থাইল্যান্ড সীমান্তবর্তী কারেন রাজ্যের পাপুন শহরে জান্তার সদরদপ্তর ও একটি অস্ত্রাগার দখল করেছে বিদ্রোহী কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন ও তাদের সহযোগী যোদ্ধারা। পাপুন থেকে জান্তার সেনাদের সম্পূর্ণভাবে বিতাড়িত করার পর এবার শহরটির বাইরে জান্তা অবস্থানগুলো দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে তারা। গত দুই সপ্তাহ ধরে শহরটিতে জান্তার বাহিনীর ওপর আক্রমণ করছিল সশস্ত্র বিদ্রোহীরা।
এছাড়া তানিনথারি, বাগো, সাগাইং অঞ্চলেও প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সাথে লড়াইয়ে কয়েকটি সেনাঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে জান্তা বাহিনী। এসব লড়াইয়ে প্রাণ হারিয়েছে বেশ কয়েকজন সেনা।
এদিকে, মিয়ানমারের বিভিন্ন রাজ্যে প্রাপ্তবয়স্ক বেসামরিক নাগরিকদের জোরপূর্বক সেনাবাহিনীতে নিয়োগের সাথে জড়িত জান্তা কর্মকর্তা ও জান্তাপন্থী সশস্ত্র সদস্যদের হত্যা করছে প্রতিরোধ যোদ্ধারা। গত ২ সপ্তাহে অন্তত ১০ জনকে হত্যা করা হয়েছে। আর মার্চের শুরু থেকে এপর্যন্ত জান্তার ২০ জনকে হত্যা ও ১০ জনকে আটক করেছে সশস্ত্র বিদ্রোহীরা।
পাঠকের মতামত