জাতীয় ডেস্ক::
৮০ বছর বয়সে গভীর রাতে কীভাবে পেট্রলবোমা মেরেছেন, সেই প্রশ্ন করেছেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেন।
১৯ সেপ্টেম্বর, বুধবার দুপুরে রাজধানীর পল্টন থানায় দায়ের করা দুই মামলায় আগাম জামিন নেওয়ার পর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনে নিজ কক্ষে মাহবুব প্রিয়.কমের মাধ্যমে সরকারের উদ্দেশে এমন প্রশ্ন করেন।
খন্দকার মাহবুব বলেন, ‘হামলায় উসকানি দিচ্ছি-এ ধরনের মামলা যদি হতো, তাহলেও আমাদের আপত্তি ছিল না। কিন্তু এই ৮০ বছর বয়সে গভীর রাতে পেট্রলবোমা মারা, পুলিশের গায়ে ঢিল তোলার অভিযোগ অত্যন্ত দুঃখজনক এবং অপমানজনক।’
‘অপমানজনক এসব ব্যাপারে অবশ্যই আইনাঙ্গন থেকে শুধু প্রতিবাদই হবে না; যদি আইনের বিধান অনুযায়ী কিছু করা যায়, সেটিও করব আমরা।’
এ পর্যন্ত কতগুলো মামলা হয়েছে জানতে চাইলে জ্যেষ্ঠ এই আইনজীবী প্রিয়.কমকে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত জানি আইনজীবীদের বিরুদ্ধে ১০টি মামলা হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে আজ পর্যন্ত ১০টি মামলা হয়েছে। মামলার এফআইআর (প্রাথমিক তথ্য বিবরণী) দেখে মনে হয়, একই জায়গা থেকে মামলার বিষয়বস্তু লিখে দেওয়া। শুধুমাত্র মামলার ঘটনার স্থানটা আলাদা। এসব মামলার আসামি প্রায় একইসংখ্যক থাকে।’
‘বাংলাদেশে আজ পর্যন্ত আমার জানা মতে, লক্ষ লক্ষ বিএনপির নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। তারা ঘরে থাকতে পারেন না। সরকার যদি মনে করে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করে ক্ষমতা চিরস্থায়ী করবে, সে চিন্তা হবে ভুল। অতীতের ইতিহাস থেকে থেকে আমরা দেখেছি, কোনো সরকারই চিরস্থায়ী নয়, পালাবদল হবে। কীভাবে পালাবদল হবে, জনগণের ইচ্ছায় পালাবদল হবে নাকি অন্য কোনোভাবে পালাবদল হবে, সেটি আল্লাহই ভালো জানেন।’
খালেদা জিয়ার আইনজীবী বলে মামলা দেওয়া হচ্ছে কি না জানতে চাইলে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা মনে করি খালেদা জিয়া যেন আইনের সহযোগিতা না পান, তার সুচিকিৎসার ব্যাপারে আইন অঙ্গন ও রাজপথে কোনো আন্দোলন সংগ্রাম না হয়, সেই মুখ্য কারণ নিয়েই এগুলো করা হয়েছে। এ ছাড়া অন্য কোনো কারণ আছে বলে আমাদের কাছে মনে হয় না।’
‘আমাদের বিরুদ্ধে যতগুলো মামলা হয়েছে, সেগুলোর বিবরণীতে বলা হয়েছে, আমরা খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সমাবেশ ও মিছিল করেছি। পুলিশের কাজে বাধা দিয়েছি।’
এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আন্দোলনের সঙ্গে আমাদের সম্পৃক্ততা আছে। কিন্তু মামলার বিবরণীতে যা উল্লেখ করা হয়েছে, তা আজগুবি, মিথ্যা, বানোয়াট। আমরা সকল আন্দোলন অনুমতি নিয়ে করেছি। বানোয়াট মামলাগুলো, আজগুবি মামলাগুলো বাংলাদেশের ইতিহাসে এটিই প্রথম।’
পুলিশ ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী ঘটনার তদন্ত করে মামলা করেছে কি না, সেই প্রশ্নের জবাবে সুপ্রিম কোর্টের এই আইনজীবী বলেন, ‘এটি ভিত্তিহীন মামলা। উপরের নির্দেশে রাজনৈতিক কারণে পুলিশ মামলা করেছে। ঘটনা ঘটুক আর না ঘটুক, ঘটনা ছাড়াই মামলা করে দিয়েছে পুলিশ।’
‘মারা গিয়েছে ১০ বছর আগে। তার বিরুদ্ধেও মামলা করা হয়েছে। হজে গিয়েছে, তার বিরুদ্ধেও মামলা করা হয়েছে। অবশ্যই এ সকল বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’