কক্সবাজারের উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের রহমতের বিল গ্রামের বিধবা মহিলা হাফিজা বেগমকে বেদড়ক মারধর ও দুই দফা সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ উঠেছে৷ এতে আহত হয়েছে মৃত মোহাম্মদ হারুনের স্ত্রী হাফিজা বেগম।
মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুইটার দিকে ঘটনাটি ঘটেছে। স্থানীয়রা আহত বিধবা হাফিজাকে উদ্ধার করে উখিয়া হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ ঘটনায় তিন জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞতনামা আসামি করে উখিয়া থানায় অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী মৃত মোহাম্মদ হারুনের স্ত্রী হাফিজা বেগম।
হামলাকারীরা হলেন, মৃত মৌঃ আনোয়ারের ছেলে মোহাম্মদ ইসলাম (৫২), মৃত মৌঃ মুজিবুর হকের ছেলে ফজলুল রহমান(৫০), তার বোন আনোয়ারা বেগম, ভগ্নিপতি মোহাম্মদ ইসমাইল ও হাফেজ আতাউর রহমান(৪৬) সহ আরও কয়েকজন।
আবু তাহের জানান, ২০১৭ সালে আজিজুল হকের স্ত্রী খতিজা বেগমের নিকট হতে মোহাম্মদ হারুন ৯২ করা জমি ক্রয় করে। সেই থেকে ক্রয়কৃত জমি ভোগদখল করে আসছে। এ নিয়ে স্থানীয় ভাবে একাধিক বার শালিসী বৈঠক বসছিল এবং বর্তমানে বিচারাধীন আছে। বিচার অমান্য করে জায়গা জবর দখলের চেষ্টা ও মহিলাকে মারধরের ঘটনা খুবই দুঃখ জনক।
মেয়ে পুস্প বলেন, গত বছর পিতা হারুন মারা গেলে প্রতিপক্ষ গং উক্ত জমি জবর দখল করার পায়তারা শুরু করে। মঙ্গলবার ভূমিদস্যুরা আমাদের জমিতে জোরপূর্বক ভাবে ঘেরা টেংরা দিয়ে জবর দখলের চেষ্টা করলে আমার মা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান। ওই সময় প্রতিপক্ষ জবর দখলকারীরা সন্ত্রাসী কায়দায় আমার মা হাফিজা কে দুদফা হামলা ও মারধর করে। আমার মা হামলায় অজ্ঞান হয়ে পড়ে।
এ বিষয়ে অভিযোগ কারী হাফিজা বেগম বলেন, বিবাদীগণ জামাত-শিবিরের বড় বড় নেতা, তারা অনেক ক্ষমতাধর ও খারাপ প্রকৃতির লোক, তাদের বিরুদ্ধে অনেক মামলা হয়েছে৷ তারা যে কোনো সময় আমার এবং আমার পরিবারের বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে, পরিশেষে তিনি ন্যায় বিচারের দাবি জানান প্রশাসনের নিকট।
এবিষয়ে জানতে চাইলে উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী জানান, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত চলছে, তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।