চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের বিভিন্ন স্পটে ট্রাফিক জ্যাম ক্রমান্বয়ে বেড়েই চলেছে। সে কারণে দূরপাল্লার যাত্রীদের দূর্দশা এখন আরো বেশি করে চরমে উঠেছে।
দেশের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পরে চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কে সঙ্গত কারণে যানবাহন চলাচল বেশি করে। দক্ষিণ চট্টগ্রামসহ পর্যটন নগরী কক্সবাজার বান্দরবান পার্বত্য জেলায় বর্তমানে হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে সড়ক অবকাঠামোসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ চলমান রয়েছে। তাছাড়া মাতারবাড়ীতে গভীর সমুদ্রবন্দর, কোলপাওয়ার প্লান্ট বাঁশখালীতে কোলপাওয়ার প্লান্ট।
অন্যদিকে, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে মাল্টিলেন টানেল ও দোহাজারী ঘুনদুম রেলপথ নির্মাণ প্রকল্প সম্পন্ন হয়েছে এতে চলাচল করছে ট্রেন ও যানবাহন।
সম্প্রতি জাইকা ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে প্রায় সাড়ে সাত শ’ কোটি টাকা ব্যয় চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কে ছয় লেনের চারটি ব্রিজ নিমার্ণ সম্পন্ন হয়েছে। এতে যানবাহন ও পথযাত্রীদের চলাচলে কিছুটা স্বস্তি মিললেও। মহাসড়কের বেশিরভাগ স্থানেই সড়ক ও প্রশস্ত হওয়ার কারণে যানজটে দুর্ভোগ বেড়েই চলেছে। এছাড়া কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে উন্নয়ন কাজ চলমান থাকায়, নির্মাণ সামগ্রীর মালামালবাহী যানবাহনের সংখ্যাও বেড়েছে।
এর ফলে সঙ্গত কারণে ক্রমান্বয়ে চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কে ট্রাফিক ভলিউম বেড়েই চলছে। অন্যদিকে, এই মহাসড়কের বিভিন্ন স্পটে শতশত অবৈধ পার্কিং স্পট গড়ে উঠেছে, তাছাড়া জেলা উপজেলার কয়েক শতস্থানে মহাসড়কের সাথে এ সকল সড়কের সংযোগ থাকায় অসহনীয় হয়ে উঠেছে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের ট্রাফিক জ্যাম। বর্তমানে আনোয়ারা ওয়াইজনশন থেকে কক্সবাজার নগর পর্যন্ত ১৩৬ কিলোমিটার মহাসড়কে প্রতিদিন কমপক্ষে গড়ে ২০ থেকে ২৫ হাজার যানবাহন চলাচল করছে বলে জানা গেছে।
এর মধ্যে কক্সবাজার জেলার ৬৮ কিলোমিটার মহাসড়কে প্রতিদিন গড়ে ১০ থেকে ১২ হাজার এবং মহাসড়কের অবশিষ্ট অংশে (চট্টগ্রামের) গড়ে ২৫ থেকে ২৬ হাজার যানবাহন চলাচল করছে। এর পাশাপাশি মহসড়কের বিভিন্ন স্পটে সিএনজি অটোরিকশা, রিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, মাইক্রোবাস, মালামাল বহনে নিয়োজিত ট্রাক মিনি ট্রাকের পাকিং স্পট গড়ে উঠেছে। এছাড়া মহাসড়কে সোল্ডার ব্যবহার করে একাধিক স্থানে অবৈধভাবে হাটবাজার গড়ে উঠেছে। এসব কারণে প্রতিদিন যানজটের তীব্রতা আরো বাড়ছে।
অন্যদিকে, সদ্য নির্মিত টানেল খুলে দেয়ার পড়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক ও চট্টগ্রাম আনোয়ারা পিএবি আঞ্চলিক মহাসড়কে ট্রাফিক ভলিউম বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। সে কারণে অপ্রশস্ত মহাসড়ক আরো প্রশসস্ত করা একান্তভাবে প্রয়োজন বলে মনে করা হচ্ছে।
জানা গেছে, ইতোমধ্যে টানেলকে ঘিরে যানজটের চাপ কমাতে আনোয়ারা প্রান্তে প্রায় সাড়ে ৮ কিলোমিটার সড়ককে ছয় লেনে উন্নীতকরণের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। অন্যদিকে, গাছবাড়িয়া থেকে আনোয়ারা কালবিবির দীঘি পর্যন্ত প্রায় ৪৮২ কোটি টাকা ব্যয় ২১ কিলোমিটার প্রশস্তকরণের কাজও খুব দ্রুত এগিয়ে চলছে।
এদিকে আনোয়ারা কালা বিবি প্রান্ত থেকে বাঁশখালী টইটং হয়ে চকরিয়া ঈদ মনি পর্যন্ত ১৫০০ শত কোটি টাকা ব্যয় প্রায় ৪৮ কিলোমিটার আঞ্চলিক মহাসড়কে ৩৪ ফুটে প্রশস্তকরণের প্রকল্প প্রণয়ন করা হয়েছে।
এছাড়া সম্প্রতি প্রথম পর্যায়ে প্রায় পাঁচ হাজার আট শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ককে ফোর লেনে উন্নীতকরণে চূড়ান্তভাবে ডিপিপি তৈরীর কাজ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এছাড়া চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়া বাদামতলা থেকে আনোয়ারা ওয়াইজনশং পর্যন্ত এবং বাদামতলা হয়ে কেরানিহাট পর্যন্ত চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়ককে ইতোমধ্যে ৩৪ ফুটে প্রশস্তরকরণের কাজ অংশবিশেষ ছাড়া প্রায় সম্পূর্ণ সম্পন্ন হয়েছে।
জানা গেছে, যানজট নিরসনে সড়ক ও জনপদ অধিদফতর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বাঁশখালী আনোয়ারা পটিয়া পিএবি সড়ক, চন্দনাইশ গাছবাড়িয়া আনোয়ারা হয়ে কালা বিবি মোড় পর্যন্ত অপসস্ত সড়ক প্রশস্তকরণের প্রণয়নকৃত প্রকল্পগুলো দীর্ঘদিন ধরে আলোর মুখ না দেখায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে আমিও হয়ে উঠেছে ট্রাফিক জ্যাম। সে কারণে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাড়কের প্রশস্ততা আরো বৃদ্ধি করা প্রয়োজন বলে মনে করা হচ্ছে।
এর মধ্যে কক্সবাজার জেলার ৬৮ কিলোমিটার মহাসড়কে প্রতিদিন গড়ে ১০ থেকে ১২ হাজার এবং মহাসড়কের অবশিষ্ট অংশে (চট্টগ্রামের) গড়ে ২৫ থেকে ২৬ হাজার যানবাহন চলাচল করছে। এর পাশাপাশি মহসড়কের বিভিন্ন স্পটে সিএনজি অটোরিকশা, রিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, মাইক্রোবাস, মালামাল বহনে নিয়োজিত ট্রাক মিনি ট্রাকের পাকিং স্পট গড়ে উঠেছে। এছাড়া মহাসড়কে সোল্ডার ব্যবহার করে একাধিক স্থানে অবৈধভাবে হাটবাজার গড়ে উঠেছে। এসব কারণে প্রতিদিন যানজটের তীব্রতা আরো বাড়ছে।
অন্যদিকে, সদ্য নির্মিত টানেল খুলে দেয়ার পড়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক ও চট্টগ্রাম আনোয়ারা পিএবি আঞ্চলিক মহাসড়কে ট্রাফিক ভলিউম বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। সে কারণে অপ্রশস্ত মহাসড়ক আরো প্রশসস্ত করা একান্তভাবে প্রয়োজন বলে মনে করা হচ্ছে।
জানা গেছে, ইতোমধ্যে টানেলকে ঘিরে যানজটের চাপ কমাতে আনোয়ারা প্রান্তে প্রায় সাড়ে ৮ কিলোমিটার সড়ককে ছয় লেনে উন্নীতকরণের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। অন্যদিকে, গাছবাড়িয়া থেকে আনোয়ারা কালবিবির দীঘি পর্যন্ত প্রায় ৪৮২ কোটি টাকা ব্যয় ২১ কিলোমিটার প্রশস্তকরণের কাজও খুব দ্রুত এগিয়ে চলছে।
এদিকে আনোয়ারা কালা বিবি প্রান্ত থেকে বাঁশখালী টইটং হয়ে চকরিয়া ঈদ মনি পর্যন্ত ১৫০০ শত কোটি টাকা ব্যয় প্রায় ৪৮ কিলোমিটার আঞ্চলিক মহাসড়কে ৩৪ ফুটে প্রশস্তকরণের প্রকল্প প্রণয়ন করা হয়েছে।
এছাড়া সম্প্রতি প্রথম পর্যায়ে প্রায় পাঁচ হাজার আট শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ককে ফোর লেনে উন্নীতকরণে চূড়ান্তভাবে ডিপিপি তৈরীর কাজ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এছাড়া চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়া বাদামতলা থেকে আনোয়ারা ওয়াইজনশং পর্যন্ত এবং বাদামতলা হয়ে কেরানিহাট পর্যন্ত চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়ককে ইতোমধ্যে ৩৪ ফুটে প্রশস্তরকরণের কাজ অংশবিশেষ ছাড়া প্রায় সম্পূর্ণ সম্পন্ন হয়েছে।
জানা গেছে, যানজট নিরসনে সড়ক ও জনপদ অধিদফতর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বাঁশখালী আনোয়ারা পটিয়া পিএবি সড়ক, চন্দনাইশ গাছবাড়িয়া আনোয়ারা হয়ে কালা বিবি মোড় পর্যন্ত অপসস্ত সড়ক প্রশস্তকরণের প্রণয়নকৃত প্রকল্পগুলো দীর্ঘদিন ধরে আলোর মুখ না দেখায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে আমিও হয়ে উঠেছে ট্রাফিক জ্যাম। সে কারণে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাড়কের প্রশস্ততা আরো বৃদ্ধি করা প্রয়োজন বলে মনে করা হচ্ছে।