চট্টগ্রামে আদালতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ ও আইনজীবী নিহতের ঘটনায় ২৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতভর নগরীর কোতোয়ালী, পাথরঘাটা, বান্ডেল কলোনীসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে যৌথ বাহিনী।
আটককৃতদের বর্তমানে কোতোয়ালী থানা হাজতে রাখা হয়েছে। তাদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র রইছ উদ্দিন। উপ–পুলিশ কমিশনার রইছ উদ্দিন জানান, যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটককৃতদের তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। কার ভূমিকা কী ছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে এখনও কোনো মামলা দায়ের হয়নি।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রামে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আইনজীবীদের সঙ্গে সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর অনুসারীদের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের সময় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ নিহত হন। আদালত ভবনের মূল ফটকের সামনে রঙ্গম সিনেমা হল–সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে পুলিশের ১০ সদস্যসহ আহত হন অন্তত ৩৭ জন।
এর আগে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চট্টগ্রাম আদালতে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুর করা হয়। এরপর তাঁকে কারাগারে পাঠানোর জন্য প্রিজন ভ্যানে তোলা হলে বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁর অনুসারীরা। একপর্যায়ে পুলিশ, বিজিবি লাঠিপেটা ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। তখনই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। পরবর্তীতে বেলা তিনটার দিকে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পুলিশ ও আইনজীবীদের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের প্রতিবাদে আইনজীবীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। এ সময় বিক্ষোভকারীরা সাইফুলের ওপর হামলা চালায়। বিক্ষোভকারীদের অনেকের হাতে ছিল ধারালো অস্ত্র। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক সাইফুলকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ নিহতের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে আজ সকাল থেকে আদালত বর্জন কর্মসূচী পালন করছে আইনজীবীরা। সাইফুল ইসলাম আলিফ সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) ছিলেন।
পাঠকের মতামত