কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে আবার আমদানি-রপ্তানি চালু হয়েছে। ২১ দিন বন্ধ থাকার পর মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) রাখাইন রাজ্যের মংডু শহর থেকে টেকনাফ স্থলবন্দরে কয়েকটি পণ্যের চালান এসেছে। তবে এই কয়দিনে রাজস্ব আদায়ে বিরাট ক্ষতি হয়েছে। সরকার রাজস্ব হারিয়েছে প্রায় ৬০ কোটি টাকা।
টেকনাফ স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, রাখাইনে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সংঘর্ষের কারণে ১৪ নভেম্বর থেকে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায়। ২১ দিন পর চারটি ট্রলারে পণ্য এসে ভিড়েছে টেকনাফ স্থলবন্দরে। পণ্যগুলোর মধ্যে আছে আদা, মাছ, নারিকেল ও সুপারি।
টেকনাফ স্থলবন্দরের শুল্ক কর্মকর্তা এ এস এম মোশাররফ হোসেন জানান, এসব পন্য আমদানি করেছেন ওমর ফারুক নামের এক ব্যবসায়ী। রাজস্ব দিয়ে পণ্য খালাস ও সরবরাহের প্রক্রিয়া চলছে।
টেকনাফ স্থলবন্দরের আমদানিকারক ওমর ফারুক জানান, সকালে ৩০ টন আদা, ১০০ টন মাছ, ৫৫ টন নারিকেল ও ২৫২ টন সুপারি টেকনাফ স্থলবন্দর জেটিতে এসে পৌঁছেছে।
তিনি আরও জানান, মিয়ানমারে কিনে রাখা শত-শত টন আদা, মাছ, নারিকেল ও সুপারি দেশটির আকিয়াব বন্দরে ছিল এগুলো আনা যাচ্ছিল না। অনেক ব্যবসায়ীর আদা পচে গেছে। ব্যবসায়ীদের লোকসান গুণতে হচ্ছে।
টেকনাফ স্থলবন্দরের ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্ট ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ জসীম উদ্দীন চৌধুরী জানান, ব্যবসায়ীরা আইজিএম (পণ্যের তালিকাযুক্ত কাগজপত্র) জমা দিয়েছেন। রাজস্ব দেওয়ার পর পণ্য খালাস ও সরবরাহ করা হবে।
শুল্ক কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন জানান, গত ১৪ নভেম্বর মংডু শহর থেকে টেকনাফ স্থলবন্দরে কোনো পণ্য আসেনি একইভাবে টেকনাফ থেকে পণ্য মিয়ানমারে যায়নি। এই কয়দিনে প্রায় ৬০ কোটি টাকা রাজস্ব হারিয়েছে সরকার। সুত্র: প্রবা