প্রকাশিত: ২১/০৫/২০১৬ ২:০৯ পিএম

gorniনিউজ ডেস্ক: উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় ‘রোয়ানু’। এই আঘাতে চট্টগ্রাম, ভোলা ও পটুয়াখালীতে ৬ জনের প্রাণহানি হয়েছে। বিধ্বস্ত হয়েছে অসংখ্য ঘরবাড়ি।

এই ঘূর্ণিঝড় নিয়ে আবহাওয়ার বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘রোয়ানু’ শক্তিশালী হয়ে বাংলাদেশে উপকূলের দিকে আরও এগিয়ে এসেছে। শনিবার বিকেলের মধ্যেই এটি বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও বরিশাল উপকূল অতিক্রম করবে।

এতে আরও বলা হয়েছে, শনিবার সকাল ৬টায় ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে।

ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু মূলত শুক্রবার মাঝরাতে উপকূলে আঘাত হানে। এর প্রভাবে তখন থেকে উপকূল অঞ্চলসহ সারা দেশে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। আর এই বৃষ্টিই ঘূর্ণিঝড়ের শক্তিকে দুর্বল করে দিয়েছে।

আজ দুপুরে ভোলায় আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় ‘রোয়ানু’। ঝড়ে ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলায় ঘরচাপায় নারীসহ দু’জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন শতাধিক লোকজন।

এছাড়া ঝড়ে উপজেলার বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় ৫ শতাধিক ঘরবাড়ি ও দোকানপাট বিধ্বস্ত হয়েছে। এ ছাড়া লালমোহন উপজেলায় ঝড় আতঙ্কে আরও একজন মারা গেছেন। ঝড়ে দুই শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন।

নিহতরা হলেন- তজুমদ্দিন উপজেলার শশীগঞ্জ গ্রামের মফিজের ছেলে মো. আকরাম (১২), একই এলাকার মো. নয়নের স্ত্রী রেখা বেগম (২৫), লালমোহন উপজেলার বাংলাবাজার এলাকার মো. ইউনুস (৫৫)। আহতদের উদ্ধার করে তজুমদ্দিন ও ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পটুয়াখালীর দশমিনায় ঘূর্ণিঝড়ে শনিবার সকালে নয়া বিবি (৫২) নামে এক গৃহবধূ ঘুমন্ত অবস্থায় ঘরচাপায় নিহত হয়েছেন। তিনি উপজেলার উত্তর লক্ষ্মীপুর গ্রামের সুন্দর আলীর স্ত্রী। জেলার রাঙ্গাবালী ও গলাচিপা উপজেলায় বেশকিছু কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। গাছপালার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

এছাড়া চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের জঞ্জল সলিমপুরে গাছচাপায় শনিবার ভোররাতে মা কাজল বেগম (৫০) ও তার ছেলে মো. বাবু (১০) নিহত হয়েছেন। নিহতরা ওই এলাকার মো. রাফিকের স্ত্রী ও ছেলে।

তজুমদ্দিন উপজেলার ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা (পিআরও) মো. রাশেদ খান জানান, শুক্রবার রাত ৩টার দিকে হঠাৎ ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর প্রভাবে ঝড়ো হাওয়া আঘাত হানে। এতে গাছচাপা পড়ে শনিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে এক নারী এবং সকাল সাড়ে ৬টার দিকে এক শিশুর মৃত্যু হয়। এ ছাড়া লালমোহন উপজেলার বাংলাবাজার এলাকায় ঝড় আতঙ্কে মো. ইউনুস নামে একজন মারা গেছেন।

পটুয়াখালীর কলাপাড়া রাডার স্টেশনের কর্মকর্তা প্রকৌশলী প্রদীপ চক্রবর্তী জানান, ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর ব্যাপ্তি ছিল দুটি বাংলাদেশের সমান আকৃতির।

তিনি বলেন, সাগরের উপরি ও নিম্নভাগে অবস্থান নেয় রোয়ানু। অতি বৃষ্টিই বড় ধরনের বিপর্যয় থেকে উপকূলকে রক্ষা করেছে।

প্রদীপ চক্রবর্তী বলেন, বাংলাদেশের সর্বত্র আঘাত অব্যাহত রেখেছে রোয়ানু। তবে তা অত্যন্ত দুর্বল হয়ে আঘাত হানছে।

শনিবার পায়রা সমুদ্র বন্দর এলাকা ত্যাগ করে রোয়ানুর গতিপথ মিয়ানমার ও ভারতের আসামের দিকে যাবে বলেও জানান তিনি। –

পাঠকের মতামত

নির্বাচন কমিশন গঠন, নতুন সিইসি কক্সবাজারের সন্তান সাবেক সচিব নাসির উদ্দীন

কক্সবাজারের কুতুবদিয়ার সন্তান অবসরপ্রাপ্ত সচিব এ এম এম নাসির উদ্দীনকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ ...

ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংকের ২৩ শাখার ম্যানেজার প্রত্যাহার!

ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক চট্টগ্রামের ২৩টি শাখার ম্যানেজারকে প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। আলোচিত এস ...