কক্সবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির "রোয়ানু প্যাকেজ" এর কারণে আটচল্লিশ ঘন্টারও বেশি সময় অন্ধকারে রয়েছে সদরের বৃহত্তর ঈদগাঁওর সাত ইউনিয়ন, রামুর রশিদনগর, ঈদগড় ও পার্বত্য বাইশারীর বিস্তীর্ন এলাকা। ঘুর্ণিঝড় রোয়ানুর অজুহাতে গত দুইদিন আগে থেকে এসব এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেয়ায় উপরোক্ত এলাকার ১৮ হাজার গ্রাহক চরম দূর্ভোগ পোহাচ্ছেন। ভুক্তভোগী গ্রাহকরা জানান, ঘুর্ণিঝড়ের অজুহাতে শুক্রবার বিকাল থেকেই পল্লী বিদ্যুতের নিয়ন্ত্রনাধীন ঈদগাঁও বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের সঞ্চালন লাইনগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়। ফলে উপরোক্ত এলাকা অন্ধকারে ডুবে যায়। কিন্তু গতকাল ঘুর্ণিঝড় অতিক্রমের পর পরিস্হিতি স্বাভাবিক হলেও বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনগুলো এখনো চালু করা হয়নি। এতে চরম ক্ষোভ ব্যক্ত করেছেন গ্রাহকরা। জালালাবাদ পূর্ব ফরাজী পাড়ার গ্রাহক আবরার হাসান বলেন, আজ পবিত্র শবে বরাতের রাতে বিদ্যুৎ না থাকলে ভ্যাপসা গরম ও অন্ধকারে ইবাদত বন্দেগীতে চরম ব্যাঘাত সৃষ্টি হবে। উপরোক্ত ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে কক্সবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতাধীন ঈদগাঁও বিলিং এরিয়া অফিসের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার ফয়সাল আহমেদ বলেন, শুধুমাত্র ঈদগাঁও বাজারে সীমিত বিদ্যূৎ সরবরাহ চালু করয় হয়েছে, "লাইন চেক আপ" করে পর্যায়ক্রমে অন্যান্য এলাকায়ও বিদ্যুৎ দেয়া হবে। এদিকে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের খামখেয়ালীপনা ও বহুমুখী ভোগান্তির ফলে ফুঁসে উঠেছে ভুক্তভোগী গ্রাহকরা। বৃহত্তর ঈদগাঁও এলাকার বিদ্যুৎ লাইন ও সরবরাহ ব্যবস্হা আবারো পিডিবি'র কাছে ফিরিয়ে দেয়ার দাবী জানিয়েছেন ঈদগাঁওবাসী।