আনাস ভূঁইয়া : নিন্মমানের কাচাঁমাল দিয়ে তৈরি হচ্ছে বাটার জুতা। সে সাথে মুনফা বাড়াতে বেশির ভাগ জুতাই তৈরি হচ্ছে অন্য কারখানায়। সব মিলে চড়া দাম দিয়ে জুতা কিনে প্রতারিত হচ্ছেন ক্রেতারা। শুধু তাই নয় বাটার জুতায় ব্যবহৃত হচ্ছে মানব দেহের জন্য ক্ষতিকর উপকরণ থেলেটও।
অন্য যেকোন ব্র্যান্ডের চেয়ে তুলনা মূলক চড়া দাম। প্রাণ কাড়া ডিজাইন এবং টেকসই এমন শ্লোগান দিয়েই মূলত বাজারে নিজেদের অবস্থান তৈরি করেছে কানাডিয়ান কোম্পানী বাটা। যদিও মান নিয়ে অসন্তুষ্ট ক্রেতার অভাব নেই। বলছেন নিন্মমানের জুতা বিক্রয় করে প্রতারণা করছে প্রতিষ্ঠানটি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাটার জুতা তৈরিতে নিন্মমানের উপকরণ ব্যবহার হচ্ছে। এখন বেশির ভাগ জুতাতেই তার পিভিসি সোল্ট ব্যবহার করে। যেখানে উন্নতমানের সোল্ট তৈরি হয় পিপিআর বা থার্মোপ্লাস্টিক রাবার দিয়ে। পিভিসিতে থেলেট উপকরণ ব্যবহার করতে হয়। এবং এর ক্ষতিকর প্রভাব মানুষের ক্যান্সার হতে পারে। তাই উন্নত বিশ্ব এই সোল্ট ব্যবহার নিষিদ্ধ করে দিয়েছে।
শুধু নিন্মমানের উপকরণই নয় মুনাফা বাড়াতে নিজেদের কারখানায় জুতা তৈরির হারও কমিয়ে দিয়েছে বাটা। একাধিক কারখানার সাথে কথা বলে জানাগেছে বছরে বাটা কোম্পানির ৮০ শতাংশ জুতার যোগান দেন তারা।
এসব বিষয়ে জানতে বাটার কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি তাদের।