আরেকটি ফাইনাল, আরেকবার ব্যর্থতা। টাইব্রেকারে আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে শতবর্ষী কোপা আমেরিকার শিরোপা জিতে নিল চিলি।
গত আসরেও তারা এই আর্জেন্টিনাকে টাইব্রেকারে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। এ নিয়ে টানা চ্যাম্পিয়ন হল পিজ্জির শিষ্যরা।
নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময় গোলশূন্য ড্র হলে খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানে চিলি ৪-২ ব্যবধানে জিতে শিরোপা উৎসবে মাতে।
টাইব্রেকারে শুরুতেই বীরত্ব দেখান আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক সার্জিও রোমেরো। ভিদালের প্রথম শট বামে ঝাপিয়ে পড়ে তিনি রুখে দেন।
এরপরই আর্জেন্টিনার সামনে সুযোগ আসে এগিয়ে যাওয়ার। কিন্তু অধিনায়ক লিওলেন মেসি সেটি বারের উপর দিয়ে মেরে সমর্থকদের হতাশায় ডোবান।
দ্বিতীয় শটে গোল পান নিকোলাস। এরপর হ্যাভিয়ের মাচেরানোও লক্ষ্যভেট করেন। চিলির চার্লস মারিনো বল জালে জড়াতে সক্ষম হন। এরপর সার্জিও আগুয়েরাও গোল পেলে তখনও আশা বেঁচে ছিল আর্জেন্টিনার।
কিন্তু এরপর চতুর্থ শটে জেন আন্দ্রে এমানুয়েল রোমেরোকে বোকা বানালেও লুকাস বিগলিয়ার শট রুখে দেন চিলির গোলরক্ষক ব্রাভো। এরপর শেষ শটে আন্দ্রেস সিলভা রোমেরোকে পরাস্ত করলে টানা শিরোপা উৎসবে মাতে চিলি।
এর ফলে ২০১৪ সালের বিশ্বকাপ থেকে টানা তিনটি আসরের ফাইনালে গিয়েও শিরোপার দেখা পেল না আর্জেন্টিনা।
২০১৪ সালে জার্মানির কাছে হেরে যায় মেসিরা। এরপর কোপা আমেরিকার গত আসরে চিলির কাছে হারে। এবারও আর্জেন্টিনাকে কাঁদিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মত শিরোপা ঘরে তুলল চিলি। আর আর ২৩ বছরের শিরোপা খরার যন্ত্রণা আরও বাড়ল মেসিদের।
এর আগে ফাইনালে নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ের খেলা গোলশূন্য শেষ হয়। তবে সোমবার বাংলাদেশ সময় সকালে টান টান উত্তেজনার এই ম্যাচে প্রথমার্ধেই দু’দল ১০ জনের দলে পরিণত হয়।
খেলার ২৭ মিনিটে মেসিকে অবৈধ ট্যাকল করে দ্বিতীয় লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন চিলির মার্সেলো দিয়াস। আর ৪২ মিনিটে আর্তুরো ভিদালকে পেছন থেকে ফাউল করলে ব্রাজিলের রেফারি হেবার রবার্তো লোপেজ সরাসরি লাল কার্ড দেখান আর্জেন্টিনার কার্লোস রোহোকে।
দুই অর্ধে মাত্র একবারই ভালো সুযোগ তৈরি করতে পেরেছিল আর্জেন্টিনা। কিন্তু গঞ্জালো হিগুয়েনের ব্যর্থতায় হতাশায় ডুবতে হয় আর্জেন্টিনা সমর্থকদের।
খেলার ২১ মিনিটের মাথায় চিলির গ্যারি মেডালের ভুলে গোলকিপার ক্লদিও ব্রাভোকে একা পেয়েও তিনি বল জালে জড়াতে পারেননি।
চিলি আর্জেন্টাইন রক্ষণে কয়েকবার হানা দিলেও গোলের সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। প্রথমার্ধে আর্জেন্টাইন গোলে তাদের একটিও শট নেই।
অন্যদিকে লিওনেল মেসির প্রচেষ্টায় বেশ কয়েকবার আক্রমণে গেছে আর্জেন্টিনা। কিন্তু তারাও গোলের দেখা পায়নি।
কিছুটা শারীরিক শক্তি প্রয়োগ করে খেলার প্রবণতায় দুদলকেই দেখতে হয়েছে বেশ কয়েকটি হলুদ কার্ড। এদের মধ্যে আর্জেন্টিনার হাভিয়ের মাচেরানো, লিওলেন মেসি ও ক্লাডিও মাতিয়াস হলুদ কার্ড দেখেছেন। আর চিলির ভিদাল, জেয়ান আন্দ্রে, দিয়াজ ও চার্লস মারিনো দেখেছেন হলুদ কার্ড।
পাঠকের মতামত