হুমায়ুন কবির কবির জুশান, উখিয়া ::
গেল দুএক বছর ধরে তরুণীদের পাখি ড্রেস ছাড়া যেন ঈদই হতো না। এ পাখি ড্রেসের জন্য কত ঘটনায় না ঘটে গেল দেশে। ক্ষণকালের সান্নিধ্যে মহাকালের স্মৃতিতে অম্লান হয়ে থাকে কত কিছু। কিন্তু উখিয়ার তরুণীরা এবার সব কিছু ভুলে দেশের পণ্য কিনে হয় ধন্য এই নীতিতে ফিরে এসেছে। ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আদিলের কাছে পাখি ড্রেসের চাহিদার কথা জানতে চাইলে তিনি জানান, উখিয়ার ঈদ বাজার থেকে পাখি ড্রেস হারিয়ে গেছে। জমে উঠেছে ঈদ বাজার। রাজনৈতিক অবস্থা ভালো থাকায় এবার বেচাকেনা হচ্ছে ভালো। এখানকার তরুণীরা দেশের পণ্যের প্রতি আগ্রহী দেখা যাচ্ছে। ঈদ যতই এগিয়ে আসছে,ততই বাড়ছে বেচাকেনা। নানা বাহারি পোষাক ও ব্যবহার্য জিনিস কেনাকাটায় শোরগোলে এখন মুখরিত উখিয়ার বাজারগুলো। বেশ রাত পর্যন্ত চলছে বেচা-বিক্রি। এখানকার ব্যবসায়ীরা জানান, অন্যান্যবারের চেয়ে এ বছর ঈদের বাজার পরে জমেছে। তবে বেচাকেনা প্রতিদিন বাড়ছে। রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এই উখিয়ায় প্রতিবছর মিয়ানমার থেকে কেনাকাটা করতে আসেন। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে নিয়োজিত বিজিবির চোখকে ফাঁকি দিয়ে মিয়ানমারের রোহিঙ্গারা এ দেশে অনুপ্রবেশ করে উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে আতœীয়ের বাসায় উঠেন। ক্যাম্প থেকে বেরিয়ে উখিয়াসহ কক্সবাজারের বিভিন্ন বিপনি কেন্দ্রে গিয়ে কেনাকাটা সেরে আবার ফিরে যাচ্ছে মিয়ানমারে। গতকাল উখিয়া সদর একরাম মার্কেটের ব্যবসায়ীরা এসব তথ্য জানান। ক্রেতাদেন ভিড়ে এখানকার দোকানে পা ফেলার জায়গা থাকে না। ২৩ রোজা অতিক্রম হওয়ায় মানুষ ঈদের নতুন পোষাক কেনা-কাটা করতে আর সময়ক্ষেপণ করছেন না। উখিয়ার বিভিন্ন মার্কেটে ক্রেতাদের ভিড় দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে কাপড়ের দোকানে,টেইলার্স ও লেডিস কর্ণারগুলোয় বেশি ভিড় দেখা যাচ্ছে। বিভিন্ন পোষাকের দোকানে রঙ-বেরঙের বাহারি ডিজাইনের পোষাক শোভা পাচ্ছে। বিভিন্ন পোষাকের আকাশছোঁয়া দাম শুনে ঘুরপাক খাচ্ছেন ক্রেতারা। অল্প আয়ের মানুষ মার্কেটে এসে পোষাক কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন। চড়া দাম হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন অনেক ক্রেতা। তবে দোকানিরা বলছেন, ভিন্ন কথা। তারা বলছেন, এবারে পোষাকের দাম ক্রেতাদের নাগালের মধ্যেই রয়েছে।