জেলার তিনটি উপজেলা এবং পার্বত্য জেলা বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে তিনজন খুন হয়েছেন। এদের মধ্যে দুইজনকে কুপিয়ে ও একজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
কক্সবাজার জেলার সদর, চকরিয়া উপজেলার বদরখালী এবং বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নে পৃথক এই তিনটি ঘটনা ঘটে।
কক্সবাজার শহরের জেলা কারাগারের কাছে উত্তরণ আবাসন প্রকল্পে মোহাম্মদ ইসমাইল নামের এক সন্ত্রাসিকে গুলি করে হত্যা করা হয়। চকরিয়ার উপকূলীয় এলাকা বদরখালীতে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল হুদাকে প্রকাশ্যে বাজার থেকে তুলে নিয়ে পিটিয়ে এবং নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশারী ইউনিয়নে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মংশৈলু মারমাকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকে ২৪ ঘন্টায় এই হত্যাকান্ড গুলো ঘটেছে।
কক্সবাজার শহরতলিতে গুলিতে নিহত ইসমাইলের পরিবার দাবি করছেন, ‘ডিবি পরিচয়ে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।’
বদরখালীতে নিহত আওয়ামী লীগ নেতার পরিবারের দাবি, ‘রাজনৈতিক মতবিরোধের জের ধরেই নিজের ভাইপোরাই নুরুল হুদাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
চকরিয়ার বদরখালী ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ নেতা হত্যাকান্ডের প্রত্যক্ষদর্শী বুলবুল সিকদার, হাসান কোম্পানী, আবুল হোসেন ও মাষ্টার মহিউদ্দিনের সাথে কথা বলে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের টানা ১৫ বছরের সাধারণ সম্পাদক নুরুল হুদা একটি ফার্মেসীতে বসেছিলেন। ওই সময় ৫-৬ সদস্যের একদল যুবক প্রকাশ্যে সবার সামনে থেকেই নুরুল হুদাকে টেনেহিচঁড়ে তুলে নিয়ে যায়। তুলে নেয়ার মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যেই বদরখালীর ৩নং ব্লকের টুটিয়াখালী এলাকার কিল্লায় তার লাশ পাওয়া যায়।
নিহত নুরুল হুদা (৬০) বদরখালী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের মগনামা পাড়ার মৃত আবুল আহমদের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, তুলে নেয়া দুস্কৃতিকারিদের মধ্যে নুরুল হুদার কয়েকজন ভাতিজা ছিল। তাদের ধারণা, নির্বাচনী বিরোধের জের ধরেই এই হত্যাকান্ড ঘটেছে।