এর আগে, ২০১৩ সালের ৩ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সমুদ্র গবেষণা ইস্টিটিউটের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। বিজ্ঞান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রায় ৬৭ কোটি টাকা ব্যয় বরাদ্দে গণপূর্ত অধিদফতর এই গবেষণা ইনস্টিটিউট প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।
সূত্র জানায়, প্রথম পর্যায়ে তিন তলা ল্যাব ভবন, একটি রেস্টহাউজ, মহাপরিচালকের বাসভবন, একটি ‘সিএসও’ এবং ‘পিএসও’ ভবন, তিনটি ‘এসএসও’ এবং ‘এসএস’ ভবন, দ্বিতীয় শ্রেণীর কর্মকর্তাদের জন্য একটি ৫তলা ভবন, ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণীর কর্মকর্তাদের জন্য একটি ৫ তলা ভবন, একটি দোতলা ব্যাচেলর অফিসার্স হোস্টেল ভবন, একটি স্টাফ হোস্টেল ভবন, তিন তলা ক্লাব ভবন ও আনসার ব্যারাক ভবনের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। এছাড়া সীমানা প্রাচীর, আভ্যন্তরীণ পানি নিষ্কাশনসহ বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ কাজও শেষ হয়েছে।
কক্সবাজার গণপূর্ত অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নুরুল আমিন মিয়া বলেন, প্রথম পর্যায়ের নির্মাণ কাজ শেষ। বরাদ্দ পেলে দ্বিতীয় পর্যায়ের একটি মেরিন আ্যাকোয়্যারিয়ামসহ আরও বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে।
তিনি আরও জানান, চলতি বছরের শুরুতে জাতীয় সমুদ্র গবেষণা ইস্টিটিউটের গবেষণা ভবন, ক্যাডেট স্কুল ভবন, শিক্ষার্থী ও বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাদের জন্য আবাসিক কোয়াটার, রেস্ট হাউজ ও আনসার ব্যারাক ভবনের নির্মাণ কাজ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, দেশের বর্তমান ও ভবিষ্যত প্রজন্মের বিভিন্নমুখী চাহিদা মেটানোর জন্য সমুদ্র সম্পদের উপর গবেষণা তথা সমুদ্র সম্পদ সনাক্তকরণ, আহরণ এবং বহুমুখী ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার এই ইনস্টিটিউট নির্মাণ করছে। এছাড়াও সমুদ্রকে জাতীয় সম্পদে পরিণত করতে জাতীয় সমুদ্র গবেষণা ইস্টিটিউট বিরাট অবদান রাখতে সক্ষম হবে।
সুত্র-বাংলাট্রিবিউন