শামীম ইকবাল চৌধুরী,নাইক্ষ্যংছড়::
পার্বত্য বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের ধাবনখালী মার্মা পাড়ার বাসিন্দা মংশৈলু মার্মাকে গত ৩০ জুন রাত ১০ টায় বাইশারী বাজার থেকে বাড়ী ফেরার পথে পরিষদ সংলগ্ন সড়কে গলা কেটে হত্যা করা হয়। ঐ হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার দায়ে মায়ানমারের এক রাখাইন সম্প্রদায়ের নাগরিককে আটক করেছে পুলিশ।
বাইশারী তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আনিসুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে সঙ্গীয় ফোর্স সহ অভিযান চালিয়ে রামু উপজেলার ঈদগড় ইউনিয়নের বৈধ্যপাড়া উপজাতীয় পল্লীর পার্শ্ব থেকে তাকে আটক করা হয়েছে।
আটক ব্যক্তি মায়ানমারের ম্যাসলং এলাকার বাসিন্দা ক্যাথুয়াই রাখাইনের পুত্র নেই নাইং রাখাইন (৪২)। সে কয়েক বছর যাবত বৈধ্যপাড়া এলাকায় বসবাস করে আসছিল।
নিহত মংশৈলু মার্মার বড় ভাই উথোয়াইলা মার্মা বলেন, আটক নেই নাইং রাখাইনের সাথে তার ছোট ভাইয়ের বিরোধ ছিল। গত ৩ বছর পূর্বে ইউনিয়নের গুইয়া পাড়া নামক স্থানে ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলাচাকালীন দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মংশৈলু মার্মাকে লাটি দিয়ে মাথায় আঘাত করেছিল। উক্ত ঘটনায় আটক নেই নাইং রাখাইন দুই বছর জেল হাজতে থেকে পরে জামিনে মুক্তি পায়। মুক্তি পাওয়ার পর থেকে তার ভাইকে প্রতিনিয়ত হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল বলে জানান।
এদিকে আটক খুনি ও তার সহযোগীদের গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবীতে শুক্রবার বেলা ১১টার সময় বাইশারী বাজারের চৌমুহনী এলাকায় এক বিশাল প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে। এতে পাহাড়ী বাঙ্গালী সহ শত শত লোক অংশগ্রহন করে।
উক্ত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন বাইশারী ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি মোঃ আলম। ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বাহাদুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামীলীগ নেতা ও বাঁকখালী মৌজা হেডম্যান উচাহ্লা চাক, নিহত বৌদ্ধ ভিক্ষুর ছেলে অংছাথোয়াই চাক, নিহত মংশৈলু মার্মার বড় ভাই উথোয়াইলা মার্মা, আওয়ামীলীগ নেতা শফিউল আলম শহিদ, ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতি জলিলুর রহমান, সাধারন সম্পাদক হাসান বান্টু প্রমুখ।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা মংশৈলু মার্মা ও উপর চাক পাড়া বৌদ্ধ মন্দিরের নিহত বৌদ্ধ ভিক্ষু মংশেউ চাকের প্রকৃত খুনিদের গ্রেপ্তার এবং আটক মায়ানমারের নাগরিক নেইনাইং রাখাইনের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী জানান। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন পোলাঅং মার্মা।