উখিয়া নিউজ ডটকম::
ঋতুরাজ বসন্তের সূচনার দিন পহেলা ফাল্গুন। এসময় প্রকৃতি নতুন সাজে মানবমনে ফাগুনের রং ছড়ায়। ফাগুনে পুরনো পৃথিবী হয়ে ওঠে শ্যামল-বরনী, যেন যৌবন-প্রবাহ ছুটে চলে দিগ্বিদিক। আসলে নতুন বসন্ত আসে নতুন জীবনের বারতা নিয়ে।
তাই বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছেন, ফাল্গুনে বিকশিত কাঞ্চন ফুল, ডালে ডালে পুঞ্জিত আম্রমুকুল। চঞ্চল মৌমাছি গুঞ্জরি গায়, বেণুবনে মর্মরে দক্ষিণবায়। স্পন্দিত নদীজল ঝিলিমিলি করে, জ্যোৎস্নার ঝিকিমিকি বালুকার চরে।
কবি খালেদ হোসাইন লিখেছেন, তুমি ভালো থাকো আর না-থাকো ফাল্গুন আসবেই এ দেশে। ফুল যদি ঝরে যায়, নদী যদি মরে যায় ফাল্গুন আসবেই এ দেশে।
কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায় লিখেছেন, ফুল ফুটুক আর না-ই ফুটুক আজ বসন্ত।
বাংলাদেশে গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জি অনুসারে ১৩ই ফেব্রুয়ারি পহেলা ফাল্গুন পালিত হয়। বসন্তকে বরণ করে নেয়ার জন্য দিনটি বিশেষ উৎসবের সাথে পালিত হয়। বঙ্গাব্দ ১৪০১ সাল থেকে বাংলাদেশে প্রথম ‘বসন্ত উৎসব’ উদযাপন করার রীতি চালু হয়। সেই থেকে জাতীয় বসন্ত উৎসব উদযাপন পরিষদ বসন্ত উৎসব নিয়মিত আয়োজন করে আসছে।
এদিন বিশেষ করে রাজধানী জুড়ে নান বয়সী মানুষের ঢল নামে। তরুণীরা বাসন্তি রঙের শাড়ি আর মাথায় হলুদ ফুল দিয়ে নিজেরদের নুতন করে সাজিয়ে তোলে। অন্যদিকে ছেলেরা সাজে হলুদ রঙের পাঞ্জাবিতে। গ্রাম-বাংলায় বিশেষ আয়োজনে চলে পিঠা উৎসব।
পাঠকের মতামত