উখিয়া নিউজ ডটকম::
কক্সবাজার গিয়েছেন কিন্তু হিমছড়িতে যাননি কিংবা হিমছড়ির নাম শুনেন নি এমন লোক খুঁজে পাওয়া মুশকিল। কক্সবাজার থেকে মাত্র ১২ কিলোমিটার দূরে পাহাড়ের কোলে হিমছড়ি অবস্থিত। হিমছড়ির ছোট বড় ঝর্ণা, পাহাড় আর ফটোগ্রাফিক সমুদ্রতট পর্যটকদের বিমোহিত করে রাখে। শীতল পানির ঝর্ণা, মেরিন ড্রাইভ রোড এবং বিস্তীর্ণ সমুদ্র সৈকত দেখতে আপনাকে হিমছড়ি আসতেই হবে। সারাবছরই হিমছড়িতে যেতে পারবেন তবে বর্ষায় ঝর্ণাগুলে পূর্নতা পায়।
হিমছড়ি ইকোপার্কে রয়েছে ছোট বড় বেশ কিছু ঝর্ণা, প্রাকৃতিক নিসর্গ, বিস্তীর্ণ কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত, সবুজে ঘেরা মেরিন ড্রাইভ রোড আর পাহাড়ের উপর দাঁড়িয়ে সূর্য্যাস্ত উপভোগ করার ব্যবস্থা। এছাড়াও পাহাড়ের পাদদেশে ইকোপার্কের প্রবেশ মুখের বার্মিজ মার্কেট থেকে পছন্দের কেনাকাটা করে নিতে পারেন সহজেই।
[caption id="attachment_66121" align="alignleft" width="5024"] উখিয়ায় পাওয়া যাচ্ছে দেশি ও অভ্যন্তরীণ বিমানের সব টিকিট[/caption]
হিমছড়ি যেতে হলে প্রথমে ঢাকা থেকে কক্সবাজার আসতে হবে। কক্সবাজার আসতে বিভিন্ন ধরণের এসি-নন এসি বাস সার্ভিস রয়েছে বাস ভেদে ভাড়া জনপ্রতি ৯০০ থেকে ২০০০ টাকা পর্যন্ত। এছাড়া ঢাকা থেকে ট্রেনে করে চট্টগ্রাম তারপর বাসে করে কক্সবাজার যেতে পারবেন। আর যদি বাজেট নিয়ে কোন টেনশন না থাকে তবে কক্সবাজার যাবার জন্য আকাশ পথ বেছে নিতে পারেন।
কক্সবাজার এর কলাতলী মোড় থেকে সবসময় খোলা জীপ হিমছড়ির উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। এতে জনপ্রতি ভাড়া লাগে ৭০ থেকে ১০০ টাকা, রিজার্ভ গেলে বেশি টাকা লাগে আলোচনা সাপেক্ষ্যে ১০০০ থেকে ১৫০০ টাকায় যাওয়া যায়। ইজিবাইক/অটোরিক্সয়া করে হিমছড়িতে যাওয়া আসার ভাড়া লাগবে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা।
হিমছড়ি ইকোপার্ক পর্যটন কেন্দ্রে প্রবেশের জন্য ২০/- টাকার টিকেট কাটতে হবে।
কক্সবাজারের খুব কাছে হওয়ায় কক্সবাজার হোটেলে থাকাই সবচেয়ে সুবিধাজনক। ১,৫০,০০০ পর্যটকদের আবাসনের কথা ভেবে কক্সবাজার গড়ে উঠেছে প্রায় পাঁচ শতাধিক হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট ও কটেজ। এগুলোর মধ্যে মারমেইড বিচ রিসোর্ট, সায়মন বিচ রিসোর্ট, ওশেন প্যারাডাইজ, লং বীচ, কক্স টুডে, সী প্যালেস, সী গাল, কোরাল রীফ, নিটোল রিসোর্ট, আইল্যান্ডিয়া, বীচ ভিউ, সী ক্রাউন, ইউনি রিসোর্ট, উর্মি গেস্ট হাউজ, কোরাল রীফ, ইকরা বিচ রিসোর্ট, অভিসার, মিডিয়া ইন, কল্লোল, হানিমুন রিসোর্ট, নীলিমা রিসোর্ট উল্লেখযোগ্য। এসব হোটেলের ফেইসবুক পেইজ কিংবা অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে জেনে নিতে পারেন বিস্তারিত। সিজন ভেদে এইসব হোটেলের ভাড়ার তারতম্য হয়।
তাই অল্প খরচে খরচে থাকতে চাইলে একটু ভিতরের দিকে থাকতে পারেন। লাবনী বিচের ঐদিকে থাকলে তুলনামূলক কম ভাড়ায় হোটেল ও কটেজ পাওয়া যায়। বিচ থেকে একটু দূরে ও মেইন রোড থেকে ভিতরের দিকের হোটেল ও রিসোর্ট পাবেন কম টাকায়।
আনায়াসেই ৩-৪ ঘন্টায় হিমছড়ি থেকে ঘুরে আসা যায় তাই চাইলে হালকা শুকনো খাবার সাথে রাখতে পারেন কিংবা পুনরায় কক্সবাজার ফিরে খেতে পারেন। কক্সবাজারে খাবার জন্য বিভিন্ন মানের রেস্তোরাঁ রয়েছে। মধ্যম মানের রেস্টুরেন্টের মধ্যে রোদেলা, ঝাউবন, ধানসিঁড়ি, পৌষি, নিরিবিলি ইত্যাদি উল্লেখ করার মত।