বৈরি আবহাওয়ার কারণে সেন্টমার্টিনে এখন যাওয়া ঠিক হবে না। তবে ঘুরে আসতে পারেন শাহপরীর দ্বীপ। সৌন্দর্যের দিক থেকে এটিও কম কিসে! পাহাড়, সমুদ্র, নদী ও জঙ্গল–এসবের অনিন্দ্য রূপ যে কারো মনকে সুন্দরভাবে সাজিয়ে তুলতে পারবে নিমিষেই।
বাংলাদেশের মূল ভূখন্ডের সর্বদক্ষিণের অংশ শাহপরীর দ্বীপ। পর্যটন নগরী কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে অবস্থিত এই দ্বীপ। এটি মূলত সাবরাং ইউনিয়নের একটি গ্রাম। টেকনাফ উপজেলা শহর থেকে শাহপরীর দ্বীপের দূরত্ব প্রায় পনের কিলোমিটার। এখানকার মানুষের প্রধান পেশা মাছধরা ও লবণ চাষ। দ্বীপে হাট-বাজার, স্কুল-মাদ্রাসা ও মসজিদ–সবই আছে।
কী দেখবেন শাহপরীর দ্বীপে?
দেখার চোখ থাকলে তো সবকিছুই সুন্দর! শাহপরীর দ্বীপে দেখার মতো অনেক কিছুই আছে। নান্দনিক সৌন্দর্যের চিরায়ত রূপ বহমান এ দ্বীপে তিনটি সৈকত রয়েছে। তবে সৈকতগুলোতে নেই কোনো লাইফ গার্ডের ব্যবস্থা। তাই জোয়ার-ভাটার সাংকেতিক কোনো চিহ্নও থাকে না। একারণে যদি আপনি সমুদ্রে গোসল করতে চান তবে সৈকতে নামার আগে থেকেই নিজ দায়িত্বে জোয়ার-ভাটা সম্পর্কে জেনে নেবেন। কোনো অবস্থাতেই ভাটার সময় সমুদ্রে নামবেন না।
নির্জন দ্বীপ গোলার চরে দেখতে পারেন জোসনার লুকোচুরি। এখান থেকে দেখা যায় মায়ানমারের মঙডু প্রদেশ। আরকানের পাহাড়গুলো আর জনমানবহীন গ্রামে বার্মিজ সেনাচৌকিগুলো। আরেকটু সামনে থেকে দেখা যায় সেন্টমার্টিন দ্বীপ। এখানে আছে জেলেপাড়া। এখানকার ছোট ছোট কুঁড়েঘরগুলো প্রেরণা জোগাবে বেঁচে থাকার এবং সাহস নিয়ে সামনে এগিয়ে যাবার।
শাহপরীর দ্বীপে দেখতে পাবেন দু’পাশে দিগন্তজোড়া লবনের মাঠ। তার পাশ দিয়ে এঁকে-বেঁকে চলে যাওয়া খাল চোখের সীমানা পেরিয়ে চলে গেছে বহুদূর। সেসব খালে আহারের খোঁজে চরে বেড়ায় গাংচিলের সাদা সারি। তাছাড়া জেলেপাড়ার পথ ধরে আগাতে দেখা পাবেন রাস্তার পাড়ের ম্যানগ্রোভ গাছ। যখন জোয়ার আসে তখন গাছগুলো কোমর পানিতে দাঁড়িয়ে থাকে।
কম খরচে ঘুরে বেড়ানোর সেরা জায়গাগুলোর একটি এই দ্বীপ
কম খরচে ঘুরে বেড়ানোর সেরা জায়গাগুলোর একটি এই দ্বীপ
যাওয়া-থাকা
ঢাকা থেকে সরাসরি টেকনাফে যেতে পারেন বা প্রথমে কক্সবাজার গিয়ে সেখান থেকে টেকনাফ যেতে পারেন। কক্সবাজার টেকনাফে নিয়মিত বাস যায়। আর মাইক্রোবাসগুলো ছাড়ে শহরের কলাতলী এবং টেকনাফ বাইপাস মোড় থেকে। টেকনাফ শহর থেকে জীপে বা সিএনজিতে চড়ে আপনি খুব সহজেই শাহপরীর দ্বীপে পৌঁছুতে পারবেন।
টেকনাফে থাকার জন্য বিভিন্ন ধরনের হোটেল রয়েছে। আপনি নিজের পছন্দ মতো হোটেল বেছে নিতে পারেন। আপনি চাইলে শাহপরীর দ্বীপে তাঁবু টানিয়ে থাকতে পারেন। তাছাড়া এখানে এলজিইডির একটি বাংলা রয়েছে। যাওয়ার আগে যোগাযোগ করলে থাকতে পারবেন। ডেইলি বাংলাদেশ