আর রাজী
আপোষহীন, দৃঢ়চেতা, সংশপ্তক, দেশপ্রেমিক, স্বাধীনভাবে মত প্রকাশের অগ্রদূত আবরার ফাহাদ। মৃত্যু যাকে কেবল মহানই করেনি বরং করে তুলেছে বাঙলাদেশের তরুণ প্রজন্মের মহানায়ক, এ মাটির নতুন রাজনীতির পথপ্রদর্শক। আজ, সর্বার্থে; প্রান্তিক বাঙলাদেশীদের সম্ভাব্য বিপুল উত্থানের প্রতীক আবরার ফাহাদ।
আবরারের সহপাঠী ও বুয়েটের শিক্ষার্থীরা শোকগ্রস্ততার এই ক্ষণে, দেশের জন্য আবরারের আত্মদান ও অবদানকে পরিপূর্ণমাত্রায় উপলব্ধি করতে পারছেন কি না, জানি না। কিন্তু সার্বিক পরিস্থিতি বলে, আবরারের আত্মদান নতুন বাঙলাদেশের উত্থান-পর্বের সূচনা করেছে এরই মধ্যে।
এই বিশেষ ক্ষণ এবং এই ক্ষণজন্মা মানুষটিকে দেশবাসীর স্মরণে অক্ষয় করে রাখার গৌরবে তার সান্নিধ্যধন্য সহপাঠীদের অংশ সর্বাধিক। অনুমান করি, আজ হোক বা কাল হোক আবরার ফাহাদের নামে অচিরেই দেশজুড়ে ছাত্রাবাসসহ নানান স্মৃতিস্মারক নির্মাণ শুরু হবে। বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্ববিদ্যালয়ে হল বা স্মৃতি-স্মারক নির্মাণের আগে, এই মুহূর্তে যে কক্ষটিতে আবরার ফাহাদ খুন হয়েছেন, বুয়েটের শেরেবাঙলা হলের সেই ২০১১ নং কক্ষটিকেই ঘোষণা দেওয়া যেতে পারে স্বাধীন চিন্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা সংগ্রামের সূতিকাগার হিসেবে। এই কক্ষটিকেই গড়ে তোলা যেতে পারে নতুন প্রজন্মের মুক্তির লড়াইয়ের আতুড়ঘর হিসেবে। এখানে আবরারের আবক্ষ মূর্তি থাকবে, থাকবে তার ফেসবুক-পোস্টের প্রতিলিপি, তার সংগৃহীত বই আর তার স্মৃতিস্মারকগুলো। এভাবেই আবরারের স্মৃতি রক্ষার উদ্যোগ তার আত্মদানের কারণকে যথাযথ মাহাত্ম্য দিতে পারে। আবরারের প্রাণদানের ফলোক্রিয়ায়, জলুম-নির্যাতনের বিরুদ্ধে আত্মদান এবং দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার নতুন পীঠস্থান হয়ে উঠতে পারে বাঙলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়।
জয় হোক আবরার ফাহাদের!
ফেইসবুক থেকে