বাংলাদেশ ক্রিকেট ১৯৭৭ সালে আইসিসি এর হাত ধরে সদস্য হিসাবে তাদের যাত্রা শুরু করে, এবং তারপর ২০০০ সালে একটি টেস্ট প্লেয়িং জাতি হিসেবে স্বীকৃতি পায়। তারপর থেকে, বাংলাদেশী দল অনেক এগিয়েছে কিন্তু আন্তর্জাতিক ট্রফি নেই বললেই চলে। ফলস্বরূপ, বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পারফর্মেন্স নিয়ে হতাশ সকলেই, তবে ক্রিকেটে বাংলাদেশের অর্জন ও কম নয়।
আমরা যখন বাংলাদেশের এত অগ্রগতি দেখি, তখন এই প্রশ্নটি ওঠে। ক্রিকেটে বাংলাদেশের সেরা অর্জনগুলি কি? এই প্রবন্ধে আমরা সে নিয়েই আলোচনা করব এবং জানব।
বাংলাদেশ ক্রিকেটে যত গুলো বিশেষ দিন আছে তার মধ্যে প্রথম এবং অন্যতম ১৩ই এপ্রিল, যে দিনটিতে ক্রিকেটের দিন বদলের গানে সুর লেগেছিল। মালেশিয়ার কেলাব ক্লাব মাঠে আইসিসি ট্রফির সে ফাইনালে কেনিয়ার বিপক্ষে পাইলট এবং শান্তর শেষ বলে সেই রোমাঞ্চ বাংলাদেশকে দিয়েছে নতুন পরিচয়।
এরপর বাংলাদেশ ১৯৯৯ বিশ্বকাপে পাকিস্তান কে হারানো, তারপর টেস্ট ক্রিকেটে পা রাখা, ২৭ বছর পেরিয়ে গেলেও, ১৯৯৭ এর বিশ্বকাপ জেতার সেই দিনটি যেন এখনও তাজা বাংলাদেশের মানুষের কাছে। এদেশের অধিকাংশ ক্রিকেটারের মতে, ১৯৯৭ এর ১৭ এপ্রিল মালেশিয়াতে এই মাসুদ ও শান্তরা জাদু দেখিয়ে ১১ রান না করলে বর্তমান ক্রিকেট আঙন এত মসৃণ হতনা।
বর্তমানে ক্রিকেট এদেশে যে অতীতের ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে, সেখানে এই শিরোপা শুধু সাহসেরই নয়, ক্রিকেটের ঐক্যের প্রতীকও বটে। এই সাফল্য বাংলাদেশকে নিয়ে গিয়েছিল দশম দেশ হিসেবে বিশ্বকাপে খেলতে, এবং এনে দিয়েছিল সে সময়ের সরকার প্রধানের কাছ থেকে অসাধারণ সম্মাননা। এই খেলোয়াড় রা এখনও বাংলাদেশের ক্রিকেটকে সমর্থন করেন এবং সামনে এগিয়ে নিতে সহায়তা করেন।
বাংলাদেশের নারী ক্রিকেট দল ২০১৮ সালের এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতকে তিন উইকেটে পরাজিত করে তাদের প্রথম নারী শিরোপা নিশ্চিত করেছিলো। দিন টি বাংলাদেশের কাছে ঐতিহাসিক কারণ এটাই ছিল প্রথম খেলা যেখানে ভারত ছাড়া অন্য কোনো দল নারী এশিয়া কাপ জিতেছে। রোমাঞ্চকর এই ফাইনালটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল কুয়ালালামপুরের কিনারা একাডেমি ওভালে।
১১৩ রান চেস করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারেই গন্তব্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে শেষ বলে প্রয়োজন ছিল দুই রান, জাহানারা আলম বলটি হাঁকিয়ে বিজয়ী দুই রান সংগ্রহ করেন এবং টানটান উত্তেজনার মাঝে বাংলাদেশ এশিয়া কাপের চ্যাম্পিয়ন ঘোষিত হয়।
এটি ই বাংলাদেশের প্রথম এশিয়া কাপ বিজয়ের গল্প এবং টুর্নামেন্টে ভারতের আধিপত্যের অবসান ঘটার গল্প। এই জয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ আঞ্চলিক প্রতিযোগিতায় ভারতের ৩৪ ম্যাচে অপরাজিত থাকার রেকর্ড ভেঙ্গে দেয়।
২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশ সেমিফাইনালে পৌঁছেছিল, যা একটি বড় অর্জন ছিল বাংলাদেশের জন্য। তারা নিউজিল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার মতো দলকে হারিয়ে ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন ট্রফিতে সেমি ফাইনালে ভারতের কাছে হেরে যায় এবং এই যাত্রাটি ছিল ফ্যান দের জন্য খুবই উত্তেজনাপূর্ণ।
তবে মনে রাখা ভাল, ভারত মাত্র ২৬৫ রান তাড়া করছিল কারণ দুর্দান্ত ব্যাটিং পিচে, ভারতের বোলিং বাংলাদেশকে অনেকটাই দাবিয়ে রেখেছিল। তখনকার তামিম ইকবাল এবং মুশফিকুর রহিম যখন ব্যাটিং করছিলেন তার মাঝামাঝি একটি ছোট সময় যখন তামিম হার্দিক পান্ডিয়া নো-বলটি ফিরিয়ে দিয়েছিলেন - সেই পর্বটি তে বাংলাদেশকে দেখে মনে হয়েছিল তারা ৩০০-৩১০ ছুঁতে পারে, তবে তা
আর হয়নি।
এই ম্যাচে বাংলাদেশের বোলাররা প্রত্যাশিত সাফল্য পাননি, বিশেষ করে রোহিত এবং কোহলির জুটি ভাঙতে তারা হিমশিম খায়। তবে, এই টুর্নামেন্টে সেমিফাইনালে পৌঁছানো বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্জন ছিল, যা ভবিষ্যতে দলের উন্নতির সম্ভাবনা প্রদর্শন করে।
বাংলাদেশের আইসিসি টুর্নামেন্ট পারফরম্যান্সে বেশ চড়াও-উৎরাও হয়েছে, তারা অনেক বড় ম্যাচ জিতেছে কিন্তু পারফর্ম্যান্সের ধারাবাহিকতার অভাবে ২০১৭ সালের ট্রফিটি হাতছাড়া হয়ে পাকিস্তানের কাছে চলে যায়।
২০২০ সালে ধারাবাহিক এবং দলীয় পারফরমেন্সে প্রথমবারের মতন আইসিসি অনূর্ধ্ব ১৯ চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশের যুবকরা। ফাইনালে বাংলাদেশ ভারতের মুখোমুখি হয় এবং ২০ ওভারে ভারতকে ৩ উইকেটে হারায়। এভাবেই বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে অনন্য এক অর্জনের সাক্ষী হয় আকবর আলীর দল।
পচেফস্ট্রুমে বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রিত এবং পরিকল্পিত বোলিংয়ে ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা আলো ছড়াতে পারেনি. ব্যতিক্রম জয়সোয়ালের ৮৮ এবং তিলক ভর্মার ৩৮ রানে সর্বমোট ১৭৭ রানে অলআউট হয় টস হারা ভারত। অভিষেক দাস ৩ টি, শরিফুল এবং রাকিবুল এর দুটি করে উইকেটে ভারতের ইনিংস শেষ হয়। আকবর আলীর অপরাজিত ৪৩ রান বাংলাদেশ কে দেয় প্রথমবারের মতো যুব বিশ্বকাপের ট্রফি। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের এই সাফল্য ভবিষ্যতের জন্য একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হয়। এটি ছিল বাংলাদেশের প্রথম আইসিসি বিশ্বকাপ শিরোপা। পুরো দেশ আনন্দে মেতে উঠে, এবং খেলোয়াড়দের নায়কের মতো সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
আমরা আমাদের তালিকার নির্বাচিত বাংলাদেশ এর শ্রেষ্ঠ অর্জনটি ঘোষণা করার আগে ভাবার বিষয় আছে। বড় দলের বিপক্ষে খেলতে গিয়ে অনেক সংগ্রাম করতে হয়েছে, কিন্তু সময়ের সাথে সাথে বাংলাদেশ বড় দলকেও হারাতে শুরু করে। যেমন ২০০৫ সালে অস্ট্রেলিয়াকে হারানো, এমনকি ২০০৭ সালের বিশ্বকাপে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে সুপার এইটে পৌঁছানো। এরকম চমক বাংলাদেশ মাঝেমাঝেই দেখায় এবং আপনি যদি এই বিজয়ের অংশ হতে চান, 1XBET promo code 2025 আপনাকে লাভজনক অফারগুলি দেখাতে পারে। বাজির সম্ভাব্যতার মাত্রার উপর নির্ভর করে এই প্রোমো কোডগুলি আপনার পছন্দের দলের জয়কে করে দিতে পারে আপনার জয়। এখন, বাংলাদেশের ক্রিকেটে সেরা অর্জনটি:
২০১৫ সালে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠা বাংলাদেশের ক্রিকেট বিশ্বকাপ ইতিহাসে সব থেকে বড় অনুপ্রেরণা এবং মাইলফলক ছিল। এই সময় প্রতিটি বাংলাদেশির মনে আশ্বাস জাগায় হ্যাট্রিক করা রুবেল, ছক্কা হাঁকানো তামিম, দুর্দান্ত শটের মাস্টারপিস মুশফিকুর রহিম, নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান মাহমুদুল্লাহ, এবং ক্যাপ্টেন মাশরাফি বিন মর্তুজা।
২০১৪ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের কোচ ছিলেন হাতারি সিংগা, তার অধীনে থাকা বাংলাদেশ দলটি ২০১৫ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড এবং ভারতকে পরাজিত করে, পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা, এবং আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জিতে তাদের আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ে উল্লেখযোগ্য উন্নতি সাধন করে।
মাহমুদুল্লাহর টানা দুটি সেঞ্চুরি এবং রুবেল হোসেনের চমৎকার বোলিং পারফরম্যান্স বাংলাদেশকে কোয়ার্টার ফাইনালে নিয়ে গেলেও, আম্প্যায়ার এর একটি বিতর্কিত সিদ্ধান্তের জের ধরে ভারতের কাছে বাংলাদেশ পরাজিত হয়।