ওবাইদুল হক চৌধুরী,উখিয়া নিউজ ডটকম::
ভালোবাসা দিবসের কথা এলে সবাই একবাক্যে ধরেই নিই- দিনটি বুঝি কেবলই প্রেমিক-প্রেমিকা বা স্বামী-স্ত্রী কিংবা ভালোবাসার মানুষটির জন্য বলা হয়েছে। সেজন্য মিডিয়ার সব ধরনের প্রচার বা প্রতিষ্ঠানগুলোর সব ধরনের বিজ্ঞাপনেও দেখা যায় প্রেমিক-প্রেমিকা বা স্বামী-স্ত্রীর যুগল ছবি বা বিষয়।
অবশ্য এটা ঠিক, ভালোবাসা কেবল ১৪ ফেব্রুয়ারির জন্যই নয়, কিংবা শুধু প্রেমিক-প্রেমিকা বা স্বামী-স্ত্রীর জন্যও নয়, এটা সার্বজনীন এবং সারা বছরের জন্যই।
তবে ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে একটু আয়োজন করে জানানো আর কী। তাহলে সার্বজনীন হলে প্রচারে বা আয়োজনে কেবল প্রেমিক-প্রেমিকা বা স্বামী-স্ত্রী-ই বা থাকবে কেন? এখানে তো বাবা-মা, ভাই-বোনও আসতে পারেন। বিশেষ করে মাকে বাদ দিয়ে ভালোবাসা উদযাপন করাটাই বা কেমন হয়?
হ্যাঁ, কেই কেউ বলতে পারেন মা-বাবার জন্য তো মা দিবস আছে। থাকুক। তবুও আসুন এবারের ভালোবাসা দিবসের আয়োজনে শ্রদ্ধা আর ভালোবাসার সঙ্গে উপহার দিতে পারেন বাবা-মাকেও। কিংবা বেড়াতে যেতে পারেন বা খেতে যেতে পারেন।
গৃহিণী আফরোজা বলেন, ইদানীং ভালোবাসার দিবস হয়েছে; কিন্তু ঠিক জানিনা কেন এ দিবসগুলো। ভালোবাসার দিবস লাগবে কেন? আবার বাবা-মাকে নিয়েও আলাদা দিবস আছে। তারও বা কীসের প্রয়োজন। বাবা-মাকে সম্মান করতে কিংবা স্বামী-স্ত্রীকে ভালোবাসা জানাতে দিবসের প্রয়োজন আছে কি? তবুও ভালো অন্তত দিবস করে কিছুটা ভালোবাসা পাওয়া যায়, উপহার পাওয়া যায় বা খাওয়া যায়।
আর এতে ব্যবসায়ীদেরও আয় ভালো হয়। তবে আমি মনে করি ভালোবাসা যেহেতু সার্বজনীন, তাই ভালোবাসার প্রকাশটাও হওয়া উচিত সার্বজনীন। ভালোবাসা দিবসটা কেবল প্রেমিক-প্রেমিকা বা স্বামী-স্ত্রীর মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। আর ভালোবাসা দিবস নিয়ে মিডিয়ার প্রচারও হওয়া উচিত সার্বজনীন।
উখিয়া ডিগ্রী কলেজের শিক্ষার্থী মাহিন বলেন, সত্যিকার অর্থেই ভালোবাসার দিবস লাগে না। আর ভালোবাসাতো সার্বজনীন। সেজন্য প্রতি বছরই ভালোবাসা দিবসে আমি মাকেও বিশেষ উপহার দিই। ভালোবাসা নানা দিক নিয়ে গল্প করি। ভালোবাসা গল্প-উপন্যাস নিয়ে আলাপ করি।
আমি মনে করি প্রেমিক-প্রেমিকা বা স্বামী-স্ত্রীর ভালোবাসা দিবস উদযাপনের পাশাপাশি পরিবারের অন্য সদস্যদের নিয়েও দিবসটি উদযাপন করা উচিত। বিশেষ করে ভালোবাসা দিবসে মায়ের প্রতি আরও ভালোবাসা প্রকাশ করাটা প্রত্যেক সন্তানেরই উচিত। কারণ একমাত্র মা-ই নিঃস্বার্থভাবে সন্তানকে ভালোবাসা দেন। আর মায়ের মতো ভালোবাসা অন্য কারও কাছ থেকে পাওয়া সম্ভবও নয়। সব বিবেচনায় সত্যিকার অর্থেই ভালোবাসা দিবসটি মাকে ঘিরেই উদযাপন করা প্রয়োজন।