বাড়ির কয়েক কদম সামনে শাপলা বিল।।।
অপূর্ব রুপে সেঁজেছে আমার কুতুপালং গ্রামের ঐতিহ্যবাহী মাছকারিয়া বিল (মাছকাইজ্জা ডেবা)।কয়েকদিন ধরে দেখছি শাপলা ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে স্থানীয় পর্যটকদের ভীড়।কুঁয়াশাছন্ন শিশির ভেঁজা ভােরে দর্শনার্থীদের আনাগোনা বাড়ছে।
একসময় মাছের প্রাচুর্যতার কারণে লোকেমুখে নাম হয় মাছের কাইজ্জা (মাছের গোডাউন) বা মাছকাইজ্জা বিল।ছোটবেলায় কত-শত বার মাছ ধরতে গিয়েছি এই বিলে।শীতের মৌসুমে শাপলা ফুলও দেখতাম প্রায়।
সম্প্রতি মায়ানমারের আশ্রিত রোহিঙ্গাদের জনবসতির চাপে মাছকারিয়া ডেবা নর্দমায় পরিণত হতে বসেছে।বিশাল জনবসতির ব্যবহৃত গৃহঃস্থলির বর্জ্য জমে ভরাট হচ্ছে প্রতিনিয়ত। সংস্কারের কোন উদ্যোগ নেই।
তাছাড়া, দুঃখজনক হলেও সত্য, আমাদের মতো মানুষদের জন্য এসব প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বেমানান।দর্শনার্থীরা শাপলা বিলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে এসে বেপরোয়াভাবে ফুলগুলো উঠিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।যা ফুল দিয়ে সাঁজানো শাপলা বিলের রং টাকে ফ্যাকাসে করে দিচ্ছে দ্রুত।এভাবে চলতে থাকলে কয়েকদিনের মধ্যে শাপলা বিলটা সাদামাটা ডুবাতে পরিণত হবে।তাই,
আসুন, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বর্ধনে উদ্যোগী হই, ধ্বংস করতে নয়।।।
লেখক
ওবাইদুল হক জুবেল
লেকচারার
কক্সবাজার সরকারি কলেজ