সেলিম উদ্দীন, ঈদগাঁও::
চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী বালি মহালে অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালি উত্তোলন করার দায়ে ভ্রাম্যমান অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২নভেম্বর) দুপুর ১২ টার সময় ইউনিয়নের গোদার ফাড়ি এলাকায় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জুয়েলের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় মেশিন দিয়ে বালি উত্তোলনের দায়ে স্থানীয় আব্দুল জব্বারের পুত্র সাইফুলের কাছ থেকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা আদায় করে ভবিষ্যতে বন বিভাগের জায়গা থেকে বালি উত্তোলন না করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন তিনি। এ ঘটনায় বেশ ক‘জনকে আটক করা হলেও শর্ত সাপেক্ষে পরে তাদেরকে ছাড় দেয়া হয়।
অভিযানে র্যাব-৭ কক্সবাজার ক্যাম্প কমান্ডার মেজর রুহুল আমিন, ফুলছড়ি এসিএফ বেলায়ত হোসেন, স্পেশাল রেঞ্জ কর্মকর্তা মেহেদী হাসান, ফুলছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা মো: আব্দুর রাজ্জাক সার্বিক সহযোগীতা করেন।
র্যাব-৭ কক্সবাজার ক্যাম্প কমান্ডার মেজর রুহুল আমিন বলেন, অবৈধ ভাবে বালি উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যহত থাকবে জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা।
ফুলছড়ি এসিএফ বেলায়ত হোসেন বলেন, ইজারার নাম দিয়ে একটি পক্ষ দীর্ঘদিন ধরে বন বিভাগের জায়গা থেকে মেশিন দিয়ে বালি উত্তোলন করে পরিবেশ নষ্ট করছে। প্রাথমিকভাবে জড়িতদের কাছ থেকে জরিমানা আদায় করা হয়েছে। ফের বালি উত্তোলন করা হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ফুলছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা মো: আব্দুর রাজ্জাক বলেন, গুটি কয়েক ব্যাক্তি মেশিন দিয়ে বালি উত্তোলনের নামে জবর দখল করছে। তাদেরকে একাধিকবার নিষেধ করা হয়েছে। বালি উত্তোলন অব্যহত থাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। বন্ধ না হলে পুনরায় অভিযান চালিয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।
অভিযানে ফুলছড়ি বিট কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান নাপিতখালী বিট কর্মকর্তা আজমত উল্লাহ, রাজঘাট বিট কর্মকর্তা নুহাশ চন্দ্র হাজং, মেদাকচ্ছপিয়া বিট কর্মকর্তা ছৈয়দ আবু জাকারিয়া, বন প্রহরী আল আমিন, আরিফুর রহমান, আবদুল আজিজ, মোহাম্মদ ইব্রাহীম, উত্তম কুমার দাশ, জেহেছান আলী, ফরমান আলী, আবদুল বারেক, শের আলী, হেডম্যান আশরাফ আলী, মকতুল হোছাইন, মোহাম্মদ শফি,বিভিন্ন বনবিটের ভিলেজার ও সিপিজি সদস্যরা অংশ নেন।
পাঠকের মতামত