নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯/০১/২০২৫ ৩:৪৯ পিএম

দীর্ঘদিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি বিভাগে ‘ইনডোর মেডিকেল অফিসার’ হিসেবে কর্মরত থাকার পর এক বদলি আদেশে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে যোগদান করলেন প্রসূতি, স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ ও সার্জন ডা. আরিফা মেহের রুমী। তিনি কক্সবাজারের কৃতিসন্তান পরমাণু বিজ্ঞানী ড. মো. মীর কাসেমের কনিষ্ঠ মেয়ে।

বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন কর্মস্থলে যোগদান করলেন তিনি।

ডা. রুমী তাঁর চিকিৎসাসেবার মান, মানবিক আচরণ ও সাধ্যমতো স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের মধ্য দিয়ে ইতিমধ্যে অসংখ্য মানুষের ভালোবাসা কুড়িয়েছেন; সেবাপ্রাপ্ত ও সেবাপ্রার্থী নারী সমাজে ব্যাপক পরিচিতি তাঁর। 

ব্যাথামুক্ত নরমাল ডেলিভারি ও নিঃসন্তান দম্পতিদের আদর্শ সেবা প্রদান করে থাকেন তুমুল জনপ্রিয় এই নারী চিকিৎসক। 

গর্ভবতী নারীর গর্ভকালীন চেকআপ, সিজারিয়ান সেকশন, ডিএনসি; সকল প্রকার গাইনি রোগের চিকিৎসা, অনিয়মিত মাসিক, পিসিওএস, তলপেটে ব্যথা, জরায়ু টিউমার ও জরায়ু অপারেশন; গর্ভকালীন জটিলতা যেমন, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, রক্তস্বল্পতা এবং থাইরয়েডের সমস্যাসহ নারীদের বিভিন্ন রোগের চিকিৎসাসেবা দিয়ে থাকেন তিনি। 

এমবিবিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য), এমবিবিএস, ট্রেনিং অন আইবিএফ, এমসিপিএস শেষ করে বর্তমানে পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি এফসিপিএস (গাইনি) শেষ পর্বে অধ্যয়নরত আছেন ডা. আরিফা মেহের রুমী।

আরিফা মেহের রুমী পিতা কক্সবাজারের কৃতিসন্তান পরমাণু বিজ্ঞানী ড. মো. মীর কাসেম ১৯৩৮ সালে উখিয়া উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। শিক্ষাজীবনে কুমিল্লার ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অ্যাপ্লাইড ফিজিকস-এ কৃতিত্বের সঙ্গে স্নাতক শেষ করেন। এরপর তিনি ইংল্যান্ডের এডিনবার্গ ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন।

চাকরি জীবনের শুরুতে লাহোর আণবিক শক্তি কমিশনে যোগদান করেন মীর কাসেম। এরপর জার্মানির ভিয়েনাতে আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি কমিশনের সদর দপ্তরে কর্মরত ছিলেন । ১৯৮৫ সালে  দেশে ফিরে তিনি বাংলাদেশ আণবিক শক্তি কমিশনের  প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী প্রয়াত ড. ওয়াজেদ মিয়া তাঁর বন্ধু ও সহকর্মী ছিলেন। তাঁদের প্রচেষ্টায় কক্সবাজার আণবিক শক্তি কমিশন প্রতিষ্ঠা লাভ করে। তাঁর ছেলেমেয়ের মধ্যে বড় ছেলে  চৌধুরী সুলতান মাহমুদ সপরিবারে ইংল্যান্ডে বসবাস করছেন। আরেক ছেলে  ইউসুফ কাসেম যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী নিবাসী। বড় মেয়ে কোহিনুর রহমান কানাডা প্রবাসী এবং বড় জামাতা মোহাম্মদ মামুনুর রহমান বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে কর্মরত আছেন।

জেলার স্বাস্থ্যসেবা প্রত্যাশী মানুষের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের পাশাপাশি নিয়মিত সন্ধ্যাকালীন রোগী দেখবেন কক্সবাজার ইউনিয়ন হাসপাতাল, কোর্টবাজার অরিজিন হাসপাতাল ও কুতুপালং আলিফ হাসপাতালে।

পাঠকের মতামত

উখিয়ায় শিক্ষাবঞ্চিত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিশুরা

কক্সবাজারের উখিয়ায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী রাখাইন সম্প্রদায়ের শিশুরা শিক্ষা-দীক্ষায় বঞ্চিত রয়েছে। ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের জন্য রাখাইন জনগোষ্ঠীর ...

হেফাজতে ইসলাম কক্সবাজার জেলার নতুন আহবায়ক কমিটি অনুমোদন

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ’র কক্সবাজার জেলায় নতুন আহবায়ক কমিটি অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক উইং। কক্সবাজারের প্রবীণ ...