দুর্বৃত্তের গুলিতে পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের নিহত স্ত্রী মাহমুদা অাক্তার মিতুর মরদেহ নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে ঝিনাইদহের পথে যাত্রা শুরু করেছে লাশবাহী গাড়ি। এর আগে দামপাড়ায় প্রথম নামাজে জানাজা শেষে কিছুক্ষনের জন্য মাহমুদার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় জিইসি মোড়ের বাসায়।
পরিবার সূত্রে জানাযায়, মাহমুদা অাক্তার মিতুকে ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপায় বাবুল আক্তারের পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হবে।
এদিকে বাবুল আক্তার অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে জিইসি মোড়ের বাসাতেই চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ওই ভবনের আশেপাশে নেয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা। ভবনের নিচে এখনো অবস্থান করছেন সিএমপি কমিশনার ইকবাল বাহার।
শনিবার বিকেল সোয়া ৩ টায় নগরীর দামপাড়া পুলিশ লাইন মাঠে তার জানাজা সম্পন্ন হয়।
জানাজায় অংশ নেন জাতীয় সংসদ সদস্য চট্টগ্রাম-৯ আসনের সংসদ সদস্য জিয়া উদ্দিন আহমেদ বাবলু, সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী, বন্দর-পতেঙ্গা আসনের সংসদ সদস্য এম এ লতিফ, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. শফিকুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মো. ইকবাল বাহারসহ চট্টগ্রামের শীর্ষ রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতারা।
রোববার সকাল ৭টার দিকে নগরীর জিইসি মোড়ে প্রকাশ্যে গুলি করে পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতুকে হত্যা করে দৃর্বৃত্তরা। দুই ছেলে-মেয়েকে নিয়ে ক্যান্টনমেন্ট স্কুলে যাওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে। অতি সম্প্রতি বাবুল আক্তারের পদোন্নতির পর ঢাকায় অবস্থান করলেও তার স্ত্রী ছেলে-মেয়েকে নিয়ে নগরীর জিইসি এলাকার একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন।