২০২৪ কোপা আমেরিকায় মাঠে নামার সঙ্গে সঙ্গে গর্বের একটি রেকর্ড নিজের করে নিলেন লিওনেল মেসি। মহাদেশীয় এই ফুটবল টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ডটি এখন মেসির। বিশ্বজয়ী তারকা লিওনেল মেসি এতে ভেঙে দিলেন দীর্ঘ ৭০ বছরের রেকর্ড। কানাডার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে চিলির গোলরক্ষক সার্জিও লিভিংস্টোনের ১৯৫৩ সালে গড়া রেকর্ড ভাঙলেন আর্জেন্টাইন এই প্লেমেকার। আসরে ৩৪ ম্যাচ খেলার রেকর্ড ছিল লিভিংস্টোনের। মহাদেশীয় এই ফুটবল টুর্নামেন্টে মেসির ম্যাচের সংখ্যা দাঁড়ালো ৩৫-এ। কোপা আমেরিকায় ৩৩ ম্যাচ খেলে তালিকার ৩ নম্বরে আছেন ব্রাজিলের জিজিনহো।
গত সাত দশক সার্জিও লিভিংস্টোন ছিলেন তালিকার শীর্ষে। ২০২১ সালের কোপা আমেরিকার ফাইনাল ম্যাচ খেলার মাধ্যমে লিভিংস্টোনের রেকর্ডে ভাগ বসান লিওনেল মেসি। ২০০৭ সাল থেকে শুরু হয় লিওনেল মেসির কোপা আমেরিকা যাত্রা। ফাইনালে ব্রাজিলের সঙ্গে হারে মেসির দল
ফাইনালসহ মোট ৬ ম্যাচ খেলে ২ গোল করে কোপা আমেরিকার খাতা খোলেন মেসি। এরপর ২০১১ সালের কোপায় আর্জেন্টিনা মাত্র ৪টি ম্যাচ খেলে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেয়। নিজেদের মাটিতে হওয়া এই টুর্নামেন্টে গোলশূন্য ছিলেন মেসি। ২০১৫ সালে চিলির কাছে ফাইনালে হারে মেসির দল। ৬ ম্যাচ খেলে মেসি মাত্র ১ গোল করেন। ২০১৬ সালের কোপা আমেরিকায় ফাইনাল সহ ৬টি ম্যাচ খেলে ৫ গোল করেন মেসি। ফাইনালে আবারো মুখোমুখি হতে হয় চিলির, এবারও হারে আর্জেন্টিনা। টাইব্রেকারে চিলির কাছে হারার পর আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে বিদায় নেওয়ার ঘোষণা দেন তিনি। চিলির বিপক্ষে টাইব্রেকে গোল করতে ব্যর্থ হওয়ায় সমালোচনার মুখে এই সিদ্ধান্ত নেন তিনি। এরপর সমর্থকদের প্রবল অনুরোধে আবারো জাতীয় দলে ফিরেন মেসি।
২০১৯ সালে ব্রাজিলের কাছে সেমিফাইনালে হেরে বিদায় নেয় মেসির দল। ৬ ম্যাচ খেলে ১ গোল করতে সমর্থ হন মেসি। ২০২১ সালের কোপা আমেরিকায় ৬টি ম্যাচ খেলে ৪ গোল করেন মেসি। দলকে নিজের ক্যারিয়ারের প্রথম কোপা শিরোপা এনে দেন।
১৯৪১ সাল থেকে ছয়টি কোপা আমেরিকা টুর্নামেন্টে অংশ নেন লিভিংস্টোন। ১৯৫৩ সাল পর্যন্ত কোপা আমেরিকায় চিলির গোলকিপার হিসেবে তিনি মোট ৩৪ ম্যাচ খেলেন। এরমধ্যে ১৯৪৭ সালে দলকে এনে দেন কোপা আমেরিকার চতুর্থ স্থান। আর ব্রাজিলিয়ান লিজেন্ড জিজিনহো কোপা আমেরিকায় মোট ৩৩ ম্যাচ খেলে ১৭ গোল করেন। ১৯৪২ সাল থেকে ১৯৫৭ সাল পর্যন্ত মোট ৩৩ ম্যাচ খেলেন এই ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার। জিজিনহোর সুযোগ ছিল ১৯৬১ সালের কোপা আমেরিকায় অংশ নিয়ে লিভিংস্টোনকে ছাড়িয়ে যাওয়ার। কিন্তু সেবার ব্রাজিল আর তাকে কোপা দলে অন্তর্ভুক্ত করেনি, ১৯৬২ সালে জাতীয় দল থেকে অবসর নেন তিনি